হোম অর্থ ও বাণিজ্য ড্রিমলাইনারের কানাডা ফ্লাইটে সিটের হাতল ভাঙা, মনিটর খোলা!

বাণিজ্য ডেস্ক :

কে বা কারা বাংলাদেশ বিমানের অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ ড্রিমলাইনারের সিটের হাতল ভেঙে ফেলেছে এবং সিটের পেছন থেকে মনিটর খুলে ফেলার চেষ্টা করেছে। এমনকি সিটের নিচের অংশেও চালিয়েছে ভাঙচুর। আর এ ঘটনা ঘটেছে সদ্য চালু হওয়া ঢাকা-টরন্টো রুটের একটি ফ্লাইটে। এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ বিমান কর্তৃপক্ষ খুঁজছে দোষীদের।

ঢাকা-টরন্টো রুটে চলা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের কয়েকটি আসনের বিভিন্ন অংশ ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি বিমানের বহরে সবচেয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এয়ারক্রাফটের একটি। যদিও কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি এখন কানাডার টরন্টোতে রয়েছে। সেখান থেকেই ১৭ জানুয়ারি বিষয়টি ঢাকায় জানানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের খুঁজছে বিমান।

এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ড্রিমলাইনারের ভেতরের কিছু ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, উড়োজাহাজটির কয়েকটি আসনের হাতল, আসনের সামনের এলইডি স্ক্রিন, আসনের প্যানেল ও রিমোট ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। আবার একটি আসনের দুই পাশের হাতল ভেঙে ফেলা হয়েছে। আসনের নিচের প্যানেলও ভেঙে গেছে। ওই আসনে যুক্ত এলইডি মনিটরটিও টেনে খুলে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। বাঁকা হয়ে ঝুলে আছে এলইডি মনিটর। আসনের নিচে গ্লাস, চামচ, কম্বল সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।

ড্রিমলাইনারের আসন ভাঙা অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় কোনো ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম জানিয়েছেন, বোঝা যাচ্ছে যে প্রচণ্ড খারাপ উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছে। এই আক্রোশ বিমানের ওপর নাকি দেশের ওপর তা বোঝা মুশকিল।

গত বছরের ২৭ জুলাই দিবাগত রাতে বিমানের প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট ঢাকা থেকে টরন্টোতে যায়। সেদিন থেকেই এই আকাশপথে ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছিল। ২১ ঘণ্টার এই যাত্রাপথে তেল নিতে সোয়া এক ঘণ্টার জন্য তুরস্কে বিরতি নেয় ওই উড়োজাহাজটি।

বিমান বলছে, ঢাকা-টরেন্টো রুট চালুর পর থেকেই যাত্রীদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যেই এই নাশকতার ঘটনাটি ঘটল। সেখানে কী হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা, তা এখনও জানতে পারেনি বিমান। তা ছাড়া ঘটনাটি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটিয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে বিমান এমডি শফিউল আজিম বলছেন, ‘ঢাকা-টরন্টো রুটে বিমান ভালো করছে। সে কারণে অন্য কেউ এটি করল কি না, তা-ও দেখা হবে। এটি আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি।’

ক্ষতিগ্রস্ত সিটগুলোতে যাত্রী হিসেবে কারা ছিলেন, তাদের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিমান।

একই সঙ্গে আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেয় সংস্থাটি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন