হোম অন্যান্যস্বাস্থ্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে জনসচেতনতায়: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতাকেই সরকার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন সারা পৃথিবীতেই এমনটি করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও বাংলাদেশসহ সব দেশই এই কাজ করে।

রোববার (৯ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

২০১৯ সালের চেয়েও পাঁচগুণ বেশি মানুষ এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। প্রথম থেকে ব্যবস্থা নিলে এমন অবস্থা হতো কি না; এমন প্রশ্নে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাড়াও সমসাময়িক অনেক দেশে দীর্ঘদিন ধরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বাংলাদেশে ২০১৯ সালে মাত্রারিক্ত প্রাদুর্ভাব দেখেছি। তখন তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। যে কারণে পরবর্তী বছরগুলোতে ডেঙ্গু সংক্রমণ কমেছে।’

গত বছরে ৪০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপরও সমসাময়িক দেশগুলোর তুলনায় আমাদের আক্রান্ত ছিল অনেক কম। এ বছরও সাড়ে ১২ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতেহ আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘থেমে থেমে বৃষ্টি হলে মশার প্রজনন বাড়ে। এডিস মশা ডেঙ্গুর বাহক। কাজেই এ মশার পরিমাণ যত বাড়বে, তারপর এগুলো যদি বেশি মানুষকে কামড়াতে পারে, তাহলে ডেঙ্গু বেশি ছড়াবে।’

‘সারা পৃথিবীতে এটা প্রমাণিত সত্য, জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ সমস্যাকে মোকাবিলা করা সম্ভব। ২০১৯ সালের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরের বছর থেকে ধারাবাহিকভাবে অন্যদের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে রাখতে পেরেছি’, বলেন মন্ত্রী।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এবারের ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবটা আমাদের জন্য মোটেও সুখকর না। মশার ডিম যখন থাকে, তখন এটিকে মারা যায় না; তবে তখন যদি পানি ফেলে দেয়া যায়, তাহলে সম্ভব হবে। ডিম তো আর দেখা যায় না। ভারি বৃষ্টিতে ডিমগুলো ভেসে ড্রেনে চলে যায়। এতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমে।’

কিন্তু যখন থেমে থেমে অল্প অল্প বৃষ্টি হবে, তখন পানি জমে থাকে। যেখানে যেখানে পানি জমে থাকবে, সেখানে ডিম থাকলে বা কোনো এডিস মশা যদি ডিম পাড়ে, তাহলে লার্ভা হবে। সেই লার্ভা অবস্থা থেকে এটিকে মারার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ‘মশা মারতে সিটি করপোরেশনের কাছে কি পরিমাণ জীবানুনাশক ও যন্ত্রপাতি আছে, তা আমরা মূল্যায়ন করেছি। তাদের কাছে এসব যথেষ্ট পরিমাণ আছে। এডিস মশা মারতে তাদের পর্যাপ্ত টাকা-পয়সাও দেয়া হয়েছে। ঈদের সময় মানুষ বাড়িঘর বন্ধ করে চলে যায়। এই পাঁচ-সাতদিনে সেখানে এডিস মশার প্রজনন হতে পারে। এ জন্য সবাইকে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে রাখতে বলা হয়েছিল।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন