হোম বিনোদন ডুমুরিয়ায় ১৫২ বছরের দাতব্যলয় ভবনটি আজ অরক্ষিত

ডুমুরিয়ায় ১৫২ বছরের দাতব্যলয় ভবনটি আজ অরক্ষিত

কর্তৃক
০ মন্তব্য 108 ভিউজ

এম এ এরশাদ, খুলনা অফিস :

দেখলে মনে হবে পুরোন কোন পোড়ো বাড়ি। অযত্ন অবহেলায় আর সংরক্ষনের অভাবে অনেক স্মৃতি বিজড়িত, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাণ কেন্দ্রে স্থাপিত ১৫২ বছর আগে এলাকার প্রথম চিকিৎসালয়টি (দাতব্যলয়)। আজও মাথা উঁচু করে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু ঐতিহ্যের স্মৃতি সংরক্ষণের কোনো উদ্যেগ নেই।

স্থানীয় প্রবীন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তৎকালিন জমিদার আমলে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বর্তমান থানা ঠিক পশ্চিম পাশে অর্থাৎ মরা ভন্দ্রা নদীর পাড়ে ১৮৬৮ সালে এলাকার মানুষের জন্য, ওই চিকিৎসালটি স্থাপন করা হয়। তৎকালিন সময় ডুমুরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের দুরদুরন্ত থেকে আসা মানুষ এ দাতব্যলয় চিকিৎসা সেবা নিতে আসতো। বর্তমান লাল রঙ্গের ওই পুরাতন দাতব্যলয় ভবনের ছাদ জুঁড়ে বাগান এবং ভবনের অঙ্গিনায় কচুরী পণা ও বন জঙ্গলে নানা প্রাণী কুলের অভায় আশ্রমে পরিণত হয়েছে।

আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমান চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানুষ এখন আর পিছিয়ে নেই। তবে ডুমুরিয়ায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রথম দাতব্যলয় এখানে অনেক ঐতিহ্য এবং স্মৃতি বহণ করে। এ কারণে সঠিক ইতিহাস জানাতে ১৫২ বছরের এ দাতব্যলয়টি বর্তমান ও আগামী প্রজম্মের জন্য সংরক্ষণ প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। অন্যথায় এক সময় ডুমুরিয়ার ঐতিহ্যবাহী ওই দাতব্যলটি দাদা-দাদী ও নানা-নানির কাছে গল্পের খোরাক হয়ে দাড়াবে।

এ প্রসংঙ্গে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সফিয়ান বলেন, পুরাত এ স্মৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে দাতব্যলয়টি দ্রুতই সংস্কার করে সংরক্ষনের আওতায় আনা হবে।

ডুমুরিয়ার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলমিষ্ট প্রফেসার আবদুল কাদের খান জানান, অতীতকে ভুলে গেলে চলবে না। ডুমুরিয়ার প্রাণ কেন্দ্রে তৎকালীন স্মৃতি জড়িত ঐতিহ্যবাহী এ দাতব্যলয় ভবনটি সংরক্ষণ করা দরকার। কারণ ১৯৭১ সালে এ অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক জানা-অনাজা স্মৃতি এখানে লুকিয়ে আছে। যা অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী বর্তমান প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস তাদের জানা দরকার।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন