হোম অন্যান্যসারাদেশ ডুমুরিয়ায় সড়ক-মহাসড়ক ফুটপথ অবৈধ দখলে… বাড়ছে ঝুঁকি

ডুমুরিয়ায় সড়ক-মহাসড়ক ফুটপথ অবৈধ দখলে… বাড়ছে ঝুঁকি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 111 ভিউজ

খুলনা অফিস :

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার অভ্যন্তরে ৪৫ কিলোমিটার জুঁড়ে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক ও দৌলতপুর-শাহাপুর সড়রকের দু’পাশ জুঁড়ে অবৈধ দখলে। গড়ে উঠেছে নানা স্থাপনা। একাধিক স্থানে নিয়মিত বসছে সাপ্তায়িক গরুর-ছাগল ও হাট-বাজার। সড়ক-মহাসড়ক গুলোতে বাড়ছে ঝুঁকি। সাধারণ যানবহন ও পথচারীদের ভোগান্তির অন্ত নেই। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যেন নির্বিকার।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ব্যস্ততম খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক ও দৌলতপুর-শাহাপুর প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক।

ডুমুরিয়া উপজেলার অভ্যন্তরে এ উপজেলার কৈয়া ব্রীজ হতে আঠারমাইল পর্যান্ত প্রায় ৩২ ও দৌলতপুর-শাহাপুর সড়ক থেকে উপজেলার খর্নিয়া বাজার পর্যান্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ককের দু’পাশ জুঁড়ে স্থানীয় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রতিনিয়ত গরু-ছাগলের হাট, কাঁচা বাজার, বাঁশের হাট, ইট-বালু, খোয়া, বিছালী, গাছের গুঁড়ি, কাঠ, সেনিটেশনের কারখানা, ফলের দোকান, মাছের বাজার ইত্য্যদি ব্যবসা বানিজ্য নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে।

ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়াদ্দার উপজেলা পরিষদের সামনে হাসপাতাল মোড় হতে উপজেলার ডুমুরিয়া বাস ষ্ট্যান্ড পর্যন্ত মহাসড়ককের দু’পাশে কোথাও খালী জায়গা নেই। মহাসড়ক জুঁড়ে বিছালী, বাঁশ, ইট, বালু, খোয়া ও স্যানিটেশনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। ওই এলাকায় ২টি ডিগ্রী কলেজ, ১টি সরকারী বালিকা বিদ্যালয়, ১টি বিয়্যাম স্কুল ও ২টি কেজি স্কুলসহ উপজেলা পরিষদ রয়েছে। এ এলাকায় প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থী, উপজেলা পরিষদ গামী হাজার হাজার মানুষ ও মহাসড়ক দিয়ে হাজারও চলাচল করছেন।

তাছাড়া যাত্রীবাহী বাস ও আন্যান্য যানবহণ গুলো প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দ্রæত এ অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা দরকার। উপজেলার খর্নিয়ার ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন জানান, খর্নিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের জায়গা বেদখল, স্কুলের মাঠে গরু হাট, স্থানীয় তহসিল অফিসের জায়গায় ও উপজেলের শাহাপুর, আঠারো মাইল এলাকায় সড়কের উপর নিয়মিত গরু-ছাগলের হাট বসেছে। প্রতিনিয়ত ব্যস্ততম এ মহাসড়কে গাড়ী ঘোড়া ও পথচারীদের ভোগান্তির শেষ নেই। উপজেলার চুকনগরের স্কুল শিক্ষক আঃ খালেক বলেন, খর্নিয়া থেকে আঠারমাইল পর্যান্ত মহাসড়কের দু’পাশ ঘেষে সব জায়গা এখন বিভিন্ন প্রভাবশালীদের অবৈধ দখল নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা-বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এমন কি খর্নিয়া ও চুকনগর বাজারে ২টি যাত্রী ছাউনি তাও স্থানীয়রা দখল নিয়ে সেখানে খাবারের দোকান বসানো হয়েছে। পথচারী বা যাত্রীদের রোদ-ঝড় বৃষ্টির সময় আশ্রয়ে কোনো উপায় নেই। অন্যদিকে বিশেষ করে স্কুল গামী ছাত্র-ছাত্রী ও শিশুরা প্রতিনিয়ত জুঁকির মধ্যে রয়েছে। অপরদিকে সরকারি জমি বেদখল হচ্ছে। এ সকল কারণে খুলনা-সাতক্ষীরা মহা-সড়ককে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। স্থানীয় প্রশাসন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ব্যক্তিকর্তারা যেন নির্বিকার।

খুলনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, মোঃ আনিচুজ্জামান মাসুদ জানান, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ওপর গড়ে ওঠা হাট-বজারসহ অন্যান্য সকল অবৈধ স্থাপনার তালিকার প্রস্তুত চলছে। দ্রæত অপসারণ করা হবে।

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে কথা বলে দ্রæত ওই সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন