হোম অন্যান্যসারাদেশ ডুমুরিয়ায় মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ডুমুরিয়ায় মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কর্তৃক
০ মন্তব্য 129 ভিউজ

খুলনা অফিস :
ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী প্রজন্মলীগে’র আহবায়ক ও মান্দ্রা গ্রামের জিএম সাকী ইউনুসের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং এলাকার চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তি আব্দুস সামাদ গাজী কর্তৃক একাধিক মিথ্যা, হয়রানী ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানব বন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

শনিবার দুপুর ১ টায় এলাকাবাসীর উদ্যেগে উপজেলার চেঁচুড়ি বাজারে এ মানব বন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধন শেষে জিএম সাকী ইউনুসের বোন সালমা জাহান এক সংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলা হয়, গত ৪ জুলাই দূপুর ১২ টার দিকে আমার ভাই মাছের ঘেরে যাওয়ার উদ্যেশে শ্রী নদীর কালভার্টের উপর পৌঁছে ভবদহ কলেজের শিক্ষক মোঃ হুমায়ূন কবীর স্বপনের সাথে কথা বলছিলেন।

এ সময়ে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে একই গ্রামের জিএম আব্দুস সামাদের ছেলে জিয়াউর রহমান গাজীসহ ৫/৬ জন ব্যক্তি আমার ভাইকে মারপিট করে মারাত্মক জখম করা হয়। আহত সাকীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় ৫ জুলাই আমি বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তিনি আরও জানান, একই দিনে আমার ভাই সাকী ইউনুসসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে জিয়াউর রহমান একটি নাটক সাজিয়ে থানায় পাল্টা মিথ্যা মামলা করেন।

৬ জুলাই হাসপাতাল থেকে সাকি ইউনুস বাড়ি আসেন। ওই দিন সন্ধ্যার দিকে জিয়াউর রহমান বহিরাগত লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে এসে মামলা করার কারণ জানতে চেয়ে গালি গালাজ করে সাকী ইউনুসের উপর হামলা চালায়।

এ সময় আমাদের পরিবারের লোকজন ঠেকাতে গেলে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় জিয়ার পিতা স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী এলাকার দূর্নীতিবাজ সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক আব্দুস সামাদ গাজী সাকিসহ বিভিন্ন এলাকার অনন্ত ২২ জন গ্রামের সাধারণ মানুষকে আসামী করে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। ওই সকল মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় অনেক আসামী জামিনে থাকলেও সাকিসহ ৫জন আসামী বর্তমানে জেল খানায় রয়েছেন বলে তারা জানান।

শত্রতার কারণ জানতে চাইলে সালমা জাহান ও অন্যানরা সামাদ গাজী ও তার ছেলে জিয়াউর রহমানের অতীত-বর্তমানের বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে বলেন, ফুলতলা উপজেলার তুষার নামে এক ব্যক্তির সাথে জিয়াউর রহমান গাজী যৌথভাবে ইট ভাটা ব্যবসা করেন।

পরবর্তীতে যাবতীয় টাকা তুষারকে ফেরত দেয়ার চুক্তিতে ওই ইট ভাটা জিয়া নিজেই নিয়ে নেয়। এ চুক্তির সময় সাকি ইউনুস জিয়াকে সহযোগিতা করেন। কিন্তু চুক্তি মোতাবেক টাকা পয়সা পরিশোধ না করায় তুষার পরবর্তীতে আমার ভাই সাকী ও জিয়ার নামে মামলা করেন। এমনকি জমির মালিকদের হারির টাকাও জিয়া পরিশোধ করেন না। এ সব নিয়ে জিয়া ও সাকীর মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়।

এছাড়া মান্দ্রা ঈদগাহ কমিটিতে সাকী সভাপতি নির্বাচিত হলে জিয়াদের সাথে বড় ধরনের দ্বন্দেও সৃষ্টি হয়। এর আগে জিয়ার পিতা আব্দুস সামাদ গাজী ওই ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ছিলেন। অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারিতে সামাদ গাজীকে কমিটি থেকে বাদ দেয়াসহ তাঁর বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য আজম হালদার, তারক মন্ডল, আসাদুজ্জামান আকুঞ্জী প্রমুখ।

বক্তরা আরো জানান, সাকিসহ ৫জন আসামী জেল হাজতে থাকায় সামাদ গাজী, তার ছেলে জিয়াউর রহমান ও তার সহযোগী মশিউর রহমান এবং তাপস মন্ডল প্রতিনিয়ত সাকি ও অন্যান আসামীর পরিবারদের নানাবিধ হুমকী-ধামকি প্রদান করছেন। যে কারণে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। এমতাবস্থায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানানো সংবাদ সম্মেলনে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন