হোম অন্যান্যসারাদেশ ডুমুরিয়ায় মাদ্রাসায় কর্মচারী নিয়োগে ১৬ লাখ টাকা ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ, গণস্বাক্ষরিত অভিযোগ এখন দুদকে

ডুমুরিয়ায় মাদ্রাসায় কর্মচারী নিয়োগে ১৬ লাখ টাকা ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ, গণস্বাক্ষরিত অভিযোগ এখন দুদকে

কর্তৃক
০ মন্তব্য 115 ভিউজ

খুলনা অফিস :
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নে মাজিদিয়া আলিম মাদ্রাসায় তিন কর্মচারী নিয়োগে মোটা অংকের অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী এ নিয়োগ বন্ধের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ডুমুরিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ গণস্বাক্ষরিত লিখিত এ অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া মজিদিয়া আলিম মাদ্রাসায় গত ২৪ জুলাই অফিস সহকারি, নিরাপত্তা প্রহরী এবং আয়া নামক ৩টি শূন্য পদে নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়, ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি শেখ নাজিবুর রহমান নাজু ও অধ্যক্ষ মাওঃ বদিউজ্জামান এবং কয়েক জন সদস্যর যোগ সাজসে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিনিময়ে ৩ প্রার্থীর নিকট থেকে প্রায় ১৬ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহন করা হয়েছে। স্থানীয় ‘শেখ মোমিন সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের’ সভাপতি শাহনেওয়াজ হোসেন বিশ্বাস শিমুল, রফিকুজ্জামান এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম মোড়ল, ডুমুরিয়া শেখ আব্দুল কাদের ফাউন্ডেশনের, সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আব্দুল কাদের, ডুমুরিয়া বড় বাজার ধান-চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপিত মোঃ আতিয়ার রহমান বিশ্বাস, ডুমুরিয়া নয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল ঢালী, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী খানসহ ২ শতাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে পরিক্ষার আগের রাতে পছন্দের প্রার্থীদের কাছে প্রশ্ন পত্র ফাঁস করে দেয়া হয়েছে। ফলে প্রকৃত মেধাবী প্রার্থীরা এ নিয়োগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এবং উৎকোচের টাকার একটি অংশ সকল সদস্যকে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে একজন সদস্য তার ভাগের টাকা নিয়োগ প্রাপ্ত এক প্রার্থীর বাবার কাছে ৩০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাদ্রাসাটির বর্তমান সভাপতি শেখ নাজিবুর রহমান নাজু এ প্রতিনিধিকে বলেন, নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই প্রতিষ্টানে কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে যারা অভিযোগ তুলেছেন, তাদের পছন্দে প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়নি বলে এ অপ্রচার চালানো হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ বদিউজ্জামান বলেন, প্রশ্ন ডিজি প্রতিনিধির উপস্থিতিতে করা হয়েছে। রাতে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি মিথ্যা। তবে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো লেন-দেন হয়নি। অপর একটি দায়িত্বশীণ সূত্রে জানা গেছে, সাথে চুক্তির মাধ্যমে ডিজির প্রতিনিধিকে আনা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ জানিয়েছেন, কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের বিষয় একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।  উল্লেখ, গণস্বাক্ষরিত এ অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান, দূর্নীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন