জাতীয় ডেস্ক:
বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর মাসে সারা দেশে ৫১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১২ জন নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত ৭৯৩ জন।
দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বুধবার (৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ দুর্ঘটনার সংবাদ পর্যবেক্ষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিসেম্বরে রেলপথে ২৬টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন মারা গেছেন ও ২৩ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৯টি। এসব দুর্ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যু, ১৪ জন আহত, ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৫১৭টি দুর্ঘটনায় ৫১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭৯৩ জন।
সেই হিসাবে ডিসেম্বরে সড়কে প্রতিদিন গড়ে ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একই সময়ে ২১৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। যা মোট দুর্ঘটনার ৪১ দশমিক ১৯ শতাংশ। এতে ২০১ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ। এসব দুর্ঘটনায় যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন। মোট দুর্ঘটনার ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
দুর্ঘটনার কারণে হিসেবে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ; ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি; মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল; সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা; রাতের বেলায় ফক লাইটের অবাধ ব্যবহার; চলতি বর্ষায় সড়ক মহাসড়কের ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি; যানবাহনের ত্রুটি; ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো; সড়কে চাদাঁবাজি; অদক্ষ চালক ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২১ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৩৩ জন চালক, ৫৪ জন পথচারী, ২০ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৭ জন শিক্ষার্থী, ০৩ জন শিক্ষক, ৬৪ জন নারী, ৪৪ জন শিশু, ০২ জন সাংবাদিক, ০২ জন চিকিৎসক , ০১ জন আইনজীবী, ০ ২ জন প্রকোশলী, ০১ জন মুক্তিযোদ্ধা, এবং ১২ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ০৪ জন পুলিশ সদস্য, ০২ জন চিকিৎসক , ০২ জন সাংবাদিক, ০১ জন আইনজীবী, ০১ জন মুক্তিযোদ্ধা, ০২ জন প্রকোশলী, ১০৬ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৪৫জন পথচারী, ৫১ জন নারী, ৩২ জন শিশু, ৩৬ জন শিক্ষার্থী, ১৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ০৩ জন শিক্ষক, ও ০৭ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।