হোম জাতীয় ডিএনডি’র সড়কে চলছে নৌকা, পানিবন্দি জীবন

জাতীয় ডেস্ক:

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জে ডিএনডি’র অভ্যন্তরে আবারও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন লক্ষাধিক মানুষ। আগামী ছয় মাসের মধ্যে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে ডিএনডি’র উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তাদের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

ঈদের দুদিন আগে থেকে টানা বৃষ্টির কারণে ডিএনডির অভ্যন্তরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চৌধুরিবাড়ী, লালপুর, পাগলা, কুতুবপুর, ভুইগড়, শান্তিধারা, গিরিধারা, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি, কদমতলী, মুন্সিবাগ ও শহীদবাগসহ বেশ কিছু নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়।

রোববার (০২ জুলাই) সকালে ফতুল্লার চৌধুরিবাড়ী ও লালপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ এলাকার রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বাড়ি হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। বাইরে চলাচলে ভ্যান গাড়ি ও নৌকাই তাদের ভরসা। তবে পানি নিষ্কাশনে প্রতিকারের ব্যবস্থা না নেয়ায় ন্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগী মানুষ।

তবে বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত এই জনদুর্ভোগ নিরসনের লক্ষ্যে রোববার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল পাম্প হাউস পরিদর্শনে যান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ডিএনডি উন্নয়ন প্রকল্পের সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে তাদের প্রতি তাগিদ দেন। অন্যথায় নিজেই পানিতে নেমে ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেন শামীম ওসমান।

বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূর করে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ করার আশ্বাস দেন নারায়ণগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মাইনুর রহমান।

তিনি বলেন, আশা করছি আজকের মধ্যেই আমরা পানি নিষ্কাশন করতে পারব। এছাড়া এমপি মহোদয় যা বলেছেন, আমরা ছয় মাসের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ করার চেষ্টা করব। তবে জুন মাস নাগাদ সময় প্রয়োজন।

ডিএনডির জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করতে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ৫৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। করোনা ও আর্থিক সংকটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে কাজ যথাসময়ে শেষ না হওয়ায় আরও ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ১২৯৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যে প্রকল্পটির ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মাইনুর রহমান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন