আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমায় জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে গুলি চালানো হয়েছে। এতে অন্তত ৫ জন নিহত ও ৫০ জনের মতো আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দেশটির সরকারের এক মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত-সহিংসতায় বিপর্যস্ত ডিআর কঙ্গোর বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় করছে শান্তিরক্ষা মিশন ইউনাইটেড নেশনস অরগানাইজেশন স্টাবিলাইজেশন মিশন ইন দ্য ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (এমওএনইউএসসিও)। কিন্তু সংঘাত মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য শুরু থেকেই সমালোচনার মুখে রয়েছে মিশনটি।
অস্থিতিশীল দেশটিতে ১২০টিরও বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠী সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে। ফলে প্রায়ই বেসামরকি নাগরিক হত্যার ঘটনা ঘটে। সংঘাতের কারণে উদ্বাস্তু হয় লাখ লাখ মানুষ। বহুদিন ধরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করলেও সংঘাত বন্ধে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে জাতিসংঘ মিশন।
রোববার থেকে মিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কঙ্গো থেকে মিশন প্রত্যাহার করতে হবে।
সোমবার গোমায় শত শত বিক্ষোভকারী জাতিসংঘ মিশন এমওএনইউএসসিও-র একটি গুদামে হামলা ও লুটতরাজ চালায়। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের দ্বিতীয়দিন সোমবার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তৃতীয়দিন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে গুলি চালায় শান্তিরক্ষীরা। এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানায়, মঙ্গলবার তুলনামূলক শান্তিপূর্ণ জমায়েতের ওপর শান্তিরক্ষীরা গুলি ছুড়লে দুইজন নিহত ও আরও দুইজন আহত হয়।
ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও জানায়, ঘটনাস্থলে সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু তারা গুলি ছোড়েনি। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এমওএনইউএসসিও-র মুখপাত্রের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সেনাদের সঙ্গে এম২৩ বিদ্রোহী গ্রুপের ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ায় কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে এখন তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। জরুরি অবস্থা এবং কঙ্গো ও উগান্ডার সেনাদের যৌথ অভিযান সত্ত্বেও সেখানে আইএস সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের হামলাও অব্যাহত রয়েছে।