জাতীয় ডেস্ক:
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।
নিহতরা হলেন- হরিপুর উপজেলার গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল বাসেদের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৭) ও নজরুল ইসলামের ছেলে মো.মকলেছ (২৮)।
আহত যুবকের নাম ইদ্রিশ আলী (৩০)। তিনি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বারোসা গ্রামের দুলু মোহাম্মদের ছেলে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন হরিপুর উপজেলার সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ।
তারা বলেন, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে হরিপুর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী ও রত্নাই সীমান্তে গুলিতে ওই দুই যুবক নিহত হন। তাদের মধ্যে উদ্ধার হওয়া এক যুবকের মরদেহ মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অন্যজনের মরদেহ এখনো ফেরত দেয়নি বিএসএফ। আর আহত যুবক রংপুরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও বিজিবি সূত্র জানায়, হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্তে ৩৭০নং পিলারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছিল। এ সময় ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। পরে বিজিবি একজনের মরদেহ উদ্ধার করলেও অন্যজনের মরদেহ ভারতের মর্গে নিয়ে যায় বিএসএফ।
অন্যদিকে একই সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্তের ৩৮২নং পিলার এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার সময় বিএসএফের গুলিতে এক যুবক গুরুতর আহত হন। পরে তিনি গুরুতর অবস্থায় ফিরে আসেন।
এ বিষয়ে জানতে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজীর আহম্মদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এইচ হাফিজুর রহমান জানান, বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে দুই বাংলাদেশির নিহত হয়েছেন। সোমবারই বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক হয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভারতে থাকা যুবকের মরদেহ বিএসএফ দ্রুত ফেরত দেবে।