আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত বছর ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভের সময় ক্যাম্পাসে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরণের শাস্তি দিয়েছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান বাতিল করার ঘোষণা দেওয়ার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিলো বিশ্ববিদ্যালয়টি।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি ক্যাটরিনা আর্মস্ট্রং ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্বেগকে ‘বৈধ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠান উদ্বেগ সমাধানের জন্য সরকারের সঙ্গে কাজ করছে।
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে, বিশেষ করে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয়ের পক্ষে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভের ফলে ইসলাম-বিদ্বেষ, ইহুদিবিদ্বেষ এবং বর্ণবাদ সংশ্লিষ্ট অভিযোগ ওঠে।
এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি বলেছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচার বিভাগ গত বসন্তে হ্যামিল্টন হল দখলের সাথে সম্পর্কিত ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ওপর বহু বছরের স্থগিতাদেশ, অস্থায়ী ডিগ্রি প্রত্যাহার এবং বহিষ্কার থেকে শুরু করে নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।’
আইনি গোপনীয়তার বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি শাস্তি দেওয়া শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশ করেনি। এমনকি কতজন শিক্ষার্থী শাস্তির মুখোমুখি হয়েছে, তাও বলেনি।
ছাত্র শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়ন ‘UAW Local 2710’ একটি লিখিত বিবৃতিতে বলেছে, তাদের সভাপতি গ্রান্ট মাইনারও বহিষ্কৃত ছাত্রদের মধ্যে আছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলোচনা হওয়ার আগেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন এই পদক্ষেপকে ‘প্রথম সংশোধনী অধিকারের উপর সর্বশেষ আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইউনিয়নের বিবৃতি সম্পর্কে তাদের কোনো মন্তব্য নেই।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় মার্কিন-সমর্থিত ইসরায়েলি আক্রমণের পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধ থামাতে এবং ইসরায়েলে মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবি জানায়।
এদিকে, সপ্তাহান্তে কলম্বিয়ার ছাত্র মাহমুদ খলিলকে আটক করেছে। তিনি গত বছরের ক্যাম্পাস বিক্ষোভের নেতা ছিলেন। মার্কিন প্রশাসন তাকে নির্বাসন দিতে চাইছে।