হোম আন্তর্জাতিক ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি ‘পাত্তা’ দিচ্ছে না ভারত, পাল্টা পদক্ষেপের বার্তা

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি ‘পাত্তা’ দিচ্ছে না ভারত, পাল্টা পদক্ষেপের বার্তা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 36 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়ে সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে ভারতকে আরও একবার হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ থেকে তেল কিনে খোলা বাজারে তা বিক্রি করার ‘অপরাধে’ ভারতের ওপর আরও শুল্ক চাপানো হবে। তবে ট্রাম্পের এমন বার্তার পর এবার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নিবে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়ে নয়াদিল্লিকে বারবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিশানা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এটি শুধু অন্যায্যই নয়, অযৌক্তিকও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে নিশানা করা হচ্ছে। আদতে সংঘাত শুরুর পর সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী ইউরোপে চলে যাচ্ছিল বলেই ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি শুরু করে। সেই সময় বিশ্বের জ্বালানির বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিতে উৎসাহও দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, ভারতের সমালোচনাকারী দেশগুলো নিজেরাই রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে লিপ্ত হচ্ছে। পরিসংখ্যান তুলে ধরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধু ২০২৪ সালেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং রাশিয়ার মধ্যে ৬৭ হাজার ৫০০ কোটি ইউরোর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে। ২০২৩ সালে বাণিজ্য হয়েছে ১৭ হাজার ২০০ কোটি ইউরোর, সেই হিসাবে দেখতে গেলে যা ভারত-রাশিয়ার মোট বাণিজ্যের চেয়ে অনেক বেশি।

শুধু তা-ই নয়, ২০২৪ সালে ইউরোপের প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির পরিমাণও ১৬৫ লক্ষ টনে পৌঁছেছে, যা ২০২২ সালের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে। কেবল জ্বালানিই নয়, রাশিয়া থেকে সার, খনিজ, রাসায়নিক, লোহা, ইস্পাত এবং নানা যন্ত্রপাতিও আমদানি করে ইউরোপ। পিছিয়ে নেই যুক্তরাষ্ট্রও। রাশিয়ার কাছ থেকে তারা পারমাণবিক শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড, প্যালাডিয়াম, বিবিধ সার এবং রাসায়নিক কেনে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের পরেও সেই আমদানি অব্যাহত রয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ভারতের উপর এমন আক্রমণ অন্যায্য এবং অযৌক্তিক। বিশ্বের যেকোনও প্রধান অর্থনীতির মতো ভারতও তার জাতীয় স্বার্থ এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ করবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন