হোম আন্তর্জাতিক ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে মোদি–সি’কে ফোন পুতিনের

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে মোদি–সি’কে ফোন পুতিনের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 33 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীন, ভারত ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত তিন দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে চলমান আলোচনার বিষয়ে তাদের অবহিত করেছেন।

মস্কোতে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফের সঙ্গে আলোচনার পর ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে শীঘ্রই শীর্ষ সম্মেলন হতে পারে।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে জানিয়েছেন, আগামী ১৫ আগস্ট এই বৈঠক হবে এবং এর ভেন্যু যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরতম অঙ্গরাজ্য আলাস্কায়, যা রাশিয়ার বেরিং প্রণালি থেকে মাত্র ৮৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ট্রাম্প যখন দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন থেকেই তিনি পুতিনকে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে চাপ দিচ্ছেন। সর্বশেষ গত শুক্রবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য। এই সময়ের মধ্যে রাশিয়া শান্তিতে রাজি না হলে মস্কো ও রুশ পণ্য কিনে এমন দেশগুলোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন তিনি। রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হলো চীন ও ভারত। তবে রাশিয়া এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

চীনা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, টেলিফোন আলাপে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং পুতিনকে জানিয়েছেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে চীন সমর্থন করে। এটি ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে সহায়তা করবে। পুতিন আগামী সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চীন যাবেন।

একই দিনে পুতিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও কথা বলেছেন। এর আগে, ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেন কারণ ভারত রুশ তেল কিনছে। মোদি জানিয়েছেন, পুতিনের সঙ্গে তার ভালো ও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

এই টেলিফোন আলাপের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি এক্স (টুইটার)-এ লিখেছেন, ‘আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে খুব ভালো ও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ অগ্রগতিগুলো শেয়ার করার জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার পুতিন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে কথা বলেছেন। রামাফোসা যুদ্ধ শেষ করতে শান্তি উদ্যোগে সমর্থন জানিয়েছেন। একই দিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। পুতিন জানান, রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকের স্থান হিসেবে আমিরাত বিবেচিত হতে পারে।

প্রসঙ্গত, পুতিন যেসব দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন— রাশিয়া, চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আমিরাত— তারা সবাই ব্রিকস জোটের সদস্য। মস্কো এই জোটকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের পাল্টা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে। এছাড়া শুক্রবার পুতিন বেলারুশ, কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তানের নেতাদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন।

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেনকো, কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তানের নেতাদের সঙ্গেও তার আলাপচারিতা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন