হোম আন্তর্জাতিক ট্রাম্পের এশিয়া সফরের আগে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করলো উ. কোরিয়া

ট্রাম্পের এশিয়া সফরের আগে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করলো উ. কোরিয়া

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 48 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য এশিয়া সফরের আগে এই ঘটনা সামনে এলো। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ বাহিনী প্রধানের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার (২২ অক্টোবর) ভোরে পিয়ংইয়ংয়ের পাশ্বর্বর্তী এলাকা থেকে উত্তর-পূর্বমুখী দিকে স্বল্প পাল্লার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ শনাক্ত হয়েছে। তারা উৎক্ষেপণের আগেই কিছু গতিবিধি তাদের নজরে এসেছিল। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে।

ক্ষেপণাস্ত্রগুলো স্থলভাগে পতিত হয় বলে সামরিক সূত্রে জানা গেছে।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এর আগে মে মাসে এমন পরীক্ষা চালিয়েছিল পিয়ংইয়ং। দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লি জায়ে মিয়ংয়ের তার আমলে প্রথমবার এরকম উৎক্ষেপণ চালালো উত্তর কোরিয়া। উল্লেখ্য, পিয়ংইয়ং-সিউল সম্পৃক্ততার নীতি প্রেসিডেন্ট লির অঙ্গীকারের তালিকায় ছিল।

এদিকে, আগামী সপ্তাহে এশিয়া সফরে আসতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা (এপেক) সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট লি’র সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনাটি সামনে এলো।

আসন্ন সফরে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন লি ও ট্রাম্প। তবে তাদের আগ্রহের বিষয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি পিয়ংইয়ং। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যবর্তী অসামরিকৃত অঞ্চলে (ডিমিলিটারাইজড জোন) বৈঠকের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হলেও কিছু চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।

এদিকে, দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী পানমুনজন গ্রামের যৌথ নিরাপত্তা এলাকায় (জেএসএ) পর্যটন নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে কিমের সঙ্গে বৈঠকের কোনও অগ্রগতি আছে কিনা, সে বিষয়ে কোনও তথ্য জানায়নি।

ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্সির প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে তিনটি বৈঠক এবং একাধিক চিঠি বিনিময় করেছিলেন। সে অভিজ্ঞতাকে ‘চমৎকার’ বলে বর্ণনা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের দাবির মুখে পরবর্তী আলোচনার সম্ভাবনা ভেস্তে যায়।

গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের সঙ্গে ‘সুন্দর স্মৃতির’ কথা উল্লেখ করে কিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তার দেশের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের দাবি থেকে সরে আসে, তবে আলোচনায় কোনও বাধা নেই। উত্তর কোরিয়া কখনও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগ করবে না বলেও স্পষ্ট করেছেন তিনি।

গত এক দশকে জাতিসংঘের একাধিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিয়মিতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। ইতোমধ্যে মার্কিন মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়েও পরীক্ষা চালিয়েছে তারা।

উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ গত ৮ মে পূর্ব উপকূল থেকে একাধিক স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল। চলতি মাসের শুরুতে দেশটি চীনা প্রধানমন্ত্রী উপস্থিতিতে এক সামরিক কুচকাওয়াজে তাদের নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন