হোম খেলাধুলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আমিরাতকে উড়িয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল শ্রীলঙ্কা

খেলাধূলা ডেস্ক :

প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার। সেই সঙ্গে রান রেটটাও বাড়াতে হতো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলতে নেমে দুই টার্গেটই পূরণ হলো লঙ্কানদের। বাঁচা-মরার ম্যাচে শানাকাদের জয় ৭৯ রানের বড় ব্যবধানে।

পুচকে নামিবিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পর প্লে-অফের পথ অনেকটাই কঠিন হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার জন্য। ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৫৩ রানের টার্গেট দাঁড় করিয়েছিল লঙ্কানরা। অবশ্য, বোলারদের তোপে এই লক্ষ্যটাই পাহাড়সম বানিয়ে ফেলেন আমিরাতের ব্যাটাররা। হাসারাঙ্গা-চামিরাদের তোপে মরুর দেশের দলটি শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়ে গেছে ৭৩ রানে।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আমিরাত। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস আয়ান আফজাল খানের। বিশ্বকাপের ইতিহাসে কনিষ্ঠ এ ক্রিকেটার ২১ বলে করেন ১৯ রান। এছাড়া চিরাগ সুরির ১৪ এবং জুনায়েদ সিদ্দিকীর ১৮ রান ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি কেউই।

লঙ্কান বোলিংয়ে সেরা সাফল্য দুশমন্থ চামিরার। ইনজুরি থেকে ফিরে দুর্দান্ত বল করছেন এ পেসার। আজও নিলেন প্রতিপক্ষের তিনটি উইকেট। এছাড়া ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও তিনটি উইকেট লাভ করেন।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো শুরু পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। পাওয়ারপ্লেতে ৫২ আর দশ ওভার শেষে ৮৪ রান তোলা শ্রীলঙ্কা তখন ছুটছিল বড় স্কোরের দিকে। যদিও মাঝের ওভারে উইকেট হারিয়ে রানের চাকাও খানিকটা গতি হারিয়েছিল। তবে ইনিংসের ১৪তম ওভারে ১৫ রান তুলে আবারও ঝড়ের আভাস দিচ্ছিল লঙ্কানরা।

এমন সময় বল তুলে দেয়া হয় কার্তিক মিয়াপ্পনের হাতে। ইনিংসের ১৫তম ওভারে এই লেগ স্পিনারের ‘ম্যাজিক’ ওভারেই বিধ্বস্ত লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডার। প্রথম তিন বলে তিন রান দেয়ার পর ওভারের চতুর্থ বলে কার্তিক সাজঘরে পাঠান রাজাপাকসেকে। এরপর পঞ্চম বলে চারিথ আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান। শেষ বলে লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।

শেষপর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস থামে ১৫২ রানে। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার। ছয় চার এবং দুই ছক্কায় ৬০ বলে ৭৪ রান করেন লঙ্কান এ ব্যাটার। এছাড়া কুশল মেন্ডিসের ১৮ এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ৩৩ ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের কোটা পার করতে পারেননি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন