জাতীয় ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়ক ছিলেন মুসা। মতিঝিল এলাকায় আগের দুটি হত্যাকাণ্ড, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে মুসাকে। এর আগে টিপু হত্যায় গ্রেফতার ব্যক্তিদের মুখোমুখি করা হবে।
মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করে দেশ ছেড়েছিলেন সুমন সিকদার ওরফে কিলার মুসা। দুবাই গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন সেখানে পালিয়ে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের কাছে। সেখান থেকে ওমানে। পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেও হয়নি শেষ রক্ষা। ইন্টারপোলের সহায়তায় এখন মুসা ডিবির জালে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) মুসাকে ওমান থেকে দেশে আনা হলেও আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করা হয় শুক্রবার। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, মুসাই ছিলেন টিপু হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়ক।
অতিরিক্ত কমিশনার আরও জানান, টিপু হত্যা মামলায় গ্রেফতার ১২ আসামিকে মুখোমুখি করা হবে মুসার। আগের দুটি হত্যাকাণ্ড, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে চলবে তদন্ত।
পুলিশ বলছে, মুসাকে রিমান্ড আনার পর জানা যাবে হত্যার আসল রহস্য। আরেক অভিযুক্ত মোল্লা শামীমকেও দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম টিপু। সে সময় ঘটনাস্থলে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা হয়। ডিবি মতিঝিল বিভাগ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
একপর্যায়ে মূল শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশকে গত ২৭ মার্চ গ্রেফতার করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে সে নিজের দোষ স্বীকার করে এবং হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন সিকদার মুসার নাম জানায়। সংশ্লিষ্টতা পেয়ে তাকে গ্রেফতারের অভিযানে নামে ডিবি।