জাতীয় ডেস্ক :
আফ্রান আজাদ। মানিকগঞ্জ সরকারি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) এ জেলার কয়েকটি স্কুলের ১২-১৭ বছর বয়সী ১২০টি শিশুর মধ্যে টিকা নেওয়া সেও একজন।
টিকা নেওয়ার পর কেমন আছে জানতে চাইলে, আফ্রান জানায়, তার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে টিকা নেওয়া শিশুরা সবাই সুস্থ আছে।
তারা বলছে, আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। অনেক আনন্দ লাগছে। কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই আমাদের সমবয়সীদের বলবো, টিকা নেওয়ার জন্য। কারণ এই টিকা ভয়ের কিছু নেই।
অভিভাবকরাও বলছেন, টিকা দেওয়ার উদ্যোগে শিশুদের মনোবল বেড়েছে। তারা বলছে, টিকা দেওয়ার পর প্রথমে ভয় পেয়েছিল। কিন্তু কোনো সমস্যা হয়নি। এই টিকা নেওয়ার ফলে তাদের পরিবার পুরোপুরি সুরক্ষিত হবে। এছাড়া, ইতিহাসের অংশ হতে পেরে তারা মানসিকভাবে উৎফুল্ল।
সুস্থ আছে টিকা নেওয়া মানিকগঞ্জের ১২০ শিশু। তাদের শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। অভিভাবকরা বলছেন, টিকা নেওয়ায় তাদের মনোবল বেড়েছে। এদিকে ভ্যাকসিনের মজুত বাড়িয়ে বয়সসীমা কমিয়ে ৫ বছর থেকেই শিশুদের টিকার আওতায় আনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫-১৭ বছর বয়সী শিশুদেরও টিকা দেওয়া যাবে। তবে এজন্য বাড়াতে হবে টিকার মজুত।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানুর রহমান বলেন, ১২ থেকে ১৭ এমনকি অনেক দেশে ৫ থেকে ১৭ পর্যন্ত টিকা দেওয়া হচ্ছে। কারণ ৯০ শতাংশ লোককে টিকার আওতায় আনতে হলে ওই জনগোষ্ঠিকে কাভার করতে হবে।
দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণের পর সারাদেশের শিশুরা আসবে এই কার্যক্রমের আওতায়। প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ শিশুকে দেওয়া হবে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা।