আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে আটকা পড়েছিলেন হলিউডের খ্যাতিমান পরিচালক জেমস ক্যামেরনও। নিখোঁজ সাবমেরিন উদ্ধার নিয়ে জোর তৎপরতার মধ্যে তিনি নিজের সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। জানিয়েছেন, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে তিনি একবার সাগরের নিচে ১৬ ঘণ্টা আটকে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকারে জেমস ক্যামেরন বলেন, টাইটানিক সিনেমা বানানোর সময় আটলান্টিকে নিমজ্জিত টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে প্রায় ৩৩বার সাগরের নিচে গিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে একবার তিনি ১৬ ঘন্টা আটকে ছিলেন।
ক্যামরন শুধুমাত্র হলিউডের সফল পরিচালকদের একজনই নন, একজন সমুদ্র প্রেমিকও। সমুদ্রের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি টাইটাকিনিক সিনেমা বানিয়েছেন।
টাইটানিক নির্মাণের প্রেরণা সম্পর্কে ক্যামেরন জানান, কোনো প্রেমের কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘টাইটানিক’ নির্মাণ করেননি তিনি। বরং জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে চেয়েছিলেন বলেই সিনেমাটি বানিয়েছিলেন।
এদিকে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের অক্সিজেন যেকোনো মুহূর্তে শেষ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেই শেষ মুহূর্তের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। অনুসন্ধান অভিযানে জাহাজ, ডুবোজাহাজ ও বিমানের পাশাপাশি নতুন করে ৩টি রোবটচালিত জলযান নামানো হয়েছে। যোগ দিয়েছেন একটি চিকিৎসক দলও।
গত মঙ্গলবার (২০ জুন) গভীর রাতে একটি নজরদারি যান পানির নিচে যে স্থানে প্রথম ‘শব্দ’ শনাক্ত করেছিল, সেই স্থানে রিমোট কন্ট্রোল চালিত যান দিয়ে অনুসন্ধান অভিযান চালানো হচ্ছে।
গত রোববার (১৮ জুন) আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে রওনা দিয়ে নিখোঁজ হয় ‘টাইটান’ নামের সাবমেরিনটি।
২১ ফুট দীর্ঘ টাইটান নামের ছোট ওই সাবমেরিনে পাঁচজন আরোহী রয়েছে। সাবমেরিনটিতে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন ছিল। মার্কিন কোস্ট গার্ডের মতে, বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ অক্সিজেন সরবরাহ ফুরিয়ে যাওয়ার কথা।
সাবমেরিনটি উদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশেষায়িত সংস্থা সম্পৃক্ত রয়েছে। উদ্ধারে ১২টি জাহাজ কাজ করছে। জাহাজ ছাড়াও সামরিক বিমান এবং ‘সোনোবয়া’ ব্যবহার করা হচ্ছে। যা দিয়ে সাগরের অনেক নিচে বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করা হয়।