হোম অন্যান্যসারাদেশ ঝিনাইদহে কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে গরু খামারীরা দেশীয় পদ্ধতিতে করছে মোটাতাজাকরনের কাজ

ঝিনাইদহে কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে গরু খামারীরা দেশীয় পদ্ধতিতে করছে মোটাতাজাকরনের কাজ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 114 ভিউজ

করোনা ভাইরাস কারনণ গো-খাদ্যর দাম বেশি ও গরুর মূল্য নিয়ে দুচিন্তায় খামারীরা

শিপলু জামান, ঝিনাইদহ অফিস :
ঝিনাইদহে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে চলছে মুহূর্তের গরু মোটাতাজা করণের কাজ। দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এখন খামারীরা প্রস্তুত ব্যাপারী ও বিভিন্ন বাজারে গরু বিক্রির জন্য।মহামারী করোনাভাইরাস মধ্যে ঈদের আর কয়েক মাস থাকলেও কিন্তু গো-খাদ্যর দাম বেশি ও গরুর দাম ঠিকমত পাওয়া যাবে কিনা তানিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন খামারীরা। বাজারে ভারতীয় গরুর আমদানী হবে এমন দু:শ্চিন্তায় রয়েছেন খামারীরা।
সামনে কোরবানীর ঈদ, ধরতে হবে বাজার তাইতো ঝিনাইদহের খামারীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন গরু মোটাতাজা করণের কাজে। গমের ভূষি, খৈল, খড়, কাচা ঘাস সহ অন্যান্য খাবার খাওয়ানো হচ্ছে গরুকে। কেউ খড় কাটছেন কেউবা গরু পরিষ্কার করছেন পানি দিয়ে। এভাবেই দেশীয় পদ্ধতিতে চলছে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের খামারীদের গরু মোটাতাজা করণের কাজ। সকলেরই লক্ষ কোরবানীর ঈদে ভাল দামে গরু বিক্রি করে মিলবে বেশী টাকা। কিন্তু করোনা কারনে গো-খাবারের দাম বেশী হওয়ায় খরচও হচ্ছে বেশী। আর ঈদ ঘনিয়ে আসলেও খুব একটা দেখা মিলছে না ঢাকা, চট্রগ্রাম সহ বাইরের গরুর ব্যাপারীর। করোনা কারনে স্থানীয় বাজারও হাট বন্ধ থাকায় নেই তেমন গরুর দাম। অন্যদিকে শেষ মূহূর্তে বাজারে আসবে ভারতীয় গরু এমন শঙ্কায় রয়েছেন খামারীরা।
ব্যাপারী বাপ্পারাজ জানান, এ জেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে খামারীরা ঢাকা ও চটগ্রামের গরু রপ্তানী করে থাকেন। যার কারনে গত বছরের তুলনায় গরুর দাম কম, তবে সীমান্ত দিয়ে গরু আসা বন্ধ হলে তারা লাভ করতে পারবেন বলে জানান।
এদিকে খামারী মিলন হোসেন জানান, করোনা আতংকে গরু কিনতে বাইরের খরিদ্দার তেমন আসছে না। যদি ভারতীয় গরু বাজারে আসে তাহলে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে। ঠিকমত দাম নিয়ে সংশয় আছি কি হবে ?
প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জানান, এবারে গরুর গো-খাদ্যর দাম বেশি। খামারীদের এখন কিছুটা লোকসান হলেও তারা ভাল দাম পাবেন। দেশীয় গরুই দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে তাই প্রতিবেশী দেশ থেকে গরু আমদানীর প্রয়োজন নেই।
এ জেলায় ২২হাজার খামারী তাদের গরু বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের পালিত গরুই চাহিদা পূরন করতে পারবে, ফলে বাইরের গরু আমদানীর প্রয়োজন নেই ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন