ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা হামলা হয়েছে। হামলায় ৫ জন যুবলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কার্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে রোববার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদের নেতৃত্বে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদের বাড়ির সামনে থেকে শুরু হয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে আনে। এ সময় যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. নাসিরউদ্দীন ও উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে আর একটি মিছিল মুখোমুখি হয়।
ব্রিজের সামনে থেকে দুটি মিছিল একে অপরকে পাশ কাটিয়ে যায়। এ সময় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. নাসিরউদ্দীন ও উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন মিছিল থেকে সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদের নেতৃত্বাধীন মিছিলে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের ধাক্কা দেয়া হয়।
তবে মিছিলকারীরা নিরবে উপজেলা মোড়ে পৌঁছে একটি পথসভা করে। পথসভা শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের মিছিল শেষে নেতৃবৃন্দ উপজেলা যুবলীগের মিছিলে যোগদানের জন্য যাচ্ছিলেন। এ সময় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. নাসিরউদ্দীন ও উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন মিছিল থেকে নেতাকর্মীদের উপর ইট ছোড়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
পথচারীরা জানায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জগলুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এ হামলা চালায়। এ সময় তারা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদের উপর হামলা করতে আসলে নেতাকর্মীরা তাদের ঘিরে রেখে এবং যুবলীগের অফিসে নিয়ে যায়। যুবলীগের নেতৃবৃন্দ হামলা প্রতিহতের চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। এ সময় ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ জানান, আমরা গতকাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের জন্য প্রশাসনের নিকট থেকে অনুমতি নিয়েছি। শনিবার সন্ধ্যার পরে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মিছিল হয়েছিল। যে কারণে আমরা রোববার মিছিল করার সিন্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. নাসিরউদ্দীন ও মনিরুল ইসলাম আমাদের মিছিল ও সমাবেশ করতে না দেয়ার ষড়যন্ত্র করে পাল্টা মিছিল দিয়েছে। সেই মিছিল থেকে আমাদের মিছিলে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুস সাত্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাস্টার এনামুল কবীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মীর বাবরজান বরুণ, হাজিরবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীন, শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, বাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক মাস্টার হেলালউদ্দীন খান, শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেকব সভাপতি মাস্টার আব্দুস সাত্তার, গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিয়ার রহমান ও নির্বাসখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
পরে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ছেলিমুল হক সালাম ও যুগ্মআহবায়ক ইলিয়াজ মাহমুদের নেতৃত্বে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি যুবলীগে অফিসের সামনে থেকে যাত্রা শুরু করে যশোর-বেনাপোল সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পার্টি অফিসের সামনে শেষ হয়।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য তাজউদ্দীন আহমেদ, সাদ-আমিন রনি, আলমগীর বাসার, যুবলীগ নেতা সাংবাদিক এনামুল মনি, আশরাফুল ইসলাম, আলিমুল মৃধা, পিপুল হোসেন, শাওন রেজা খোকা, নুরুল হক, এনামুল হক লিন্টু, আলমগীর হোসেন, জাকির হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা লোটাস জোহা, আবু সাঈদ মিলন, তাজমুল হোসেন ও রেজওয়ান বাপ্পি প্রমুখ।