ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি :
সোমবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় দুটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যশোর পরিবেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে এসব ভাটার লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। অবৈধ এ ভাটাগুলো বায়ুদূষণ করে চলেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তারের নেতৃত্বে সকাল থেকে ঝিকরগাছা উপজেলার দুটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটাগুলো হলো উপজেলার লাউজানি এলাকার মেসার্স এলবি ব্রিকস ও মেসার্স জনতা ব্রিকস, সৈয়দ আনোয়ার আরো জানান, যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের আওতাধীন নড়াইল, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলাতেও প্রায় ৩শ’ অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এ সপ্তাহজুড়ে ওইসব ভাটাতেও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
এদিকে, নোটিশ ছাড়াই ইটভাটা ভেঙে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভাটার মালিক ও শ্রমিকরা। এলবি ব্রিকসের মালিক আব্দুর রশিদ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশের কথা বলে কোনো নোটিশ ছাড়াই ইটভাটা ভেঙে দেয়া হয়েছে। আমি বলেছিলাম আপনারা সিলগালা করে দেন। আমি ভাটা চালাবো না। কিন্তু তারা ভাটা ভেঙে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি করে গেলো। আমার এখানে ৫শ’ শ্রমিক কাজ করে। সবাই আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
এদের কী হবে?
জনতা ব্রিকসের ম্যানেজার বলেন, ১৯৮৯ সাল থেকে এ ভাটা চলছে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত সকল কাগজপত্র ছিল। ওইসাল থেকে আর লাইসেন্স নবায়ণ করেনি কর্তৃপক্ষ। বারবার লাইসেন্সের জন্য গেলে বলে এখন বন্ধ আছে। অথচ, সরকারি কর্মকর্তারা এসে ভ্যাট নিয়ে যায়। দুই মাস আগেও ৫ লাখ টাকা ভ্যাট দেয়া হয়েছে। ভ্যাট নিয়ে কোনো ভাটা ভাঙা হলো তার কোনো জবাব দিলো না। ভাটার নামে ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে। মানুষের কাছে ৫০ লাখ টাকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় ইটভাটা ভেঙে দেয়ায় সব শেষ হয়ে গেলো। এ ভাটার শ্রমিকরা বলেনন, অন্য জেলা থেকে কাজ করতে এসেছি। ভাটা ভেঙে দিয়ে যাওয়ায় এখন আমাদের পথে বসা ছাড়া উপায় নেই। মহাজনতো আর মজুরি দেবে না।