হোম জাতীয় ঝালকাঠির ১১ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

জাতীয় ডেস্ক :

লঘুচাপের প্রভাবে ঝালকাঠিতে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এতে সুগন্ধা, বিশখালী, হলতা ও বাসন্ডাসহ জেলার ১১টি নদ-নদীতে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে গত তিন দিন ধরে বৃষ্টি অব্যহত থাকায় বিপাকে পড়েছেন জেলার সব শ্রেণির মানুষ।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৮টা থেকে নামে অবিরাম ধারায়। ফলে বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ে সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও অফিসগামীরা বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। তিনদিনের লাগাতর বৃষ্টিতে প্রায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবীরা।

টানা বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি অব্যহতভাবে বাড়ছে। প্রতিদিন দু’দফা জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে জেলার ৩০টি গ্রাম। জেলা শহরে সুগন্ধা পাড়ের নতুনচর ও কলাবাগান এলাকায় অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে বঙ্গপসাগর নিকটবর্তী কাঠালিয়া উপজেলার মানুষ।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, জেলার সুগন্ধা, বিশখালী, হলতা ও বাসন্ডাসহ ১১টি নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভাটায় পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে যায়।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সাগরে এখনো নিম্নচাপ থাকায় আরও দুদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক ছানাউল হক সময় সংবাদকে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। বৈরী আবহাওয়ায় এখনও উত্তাল রয়েছে সাগর। ফলে বহাল রয়েছে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন