হোম অন্যান্যসারাদেশ ঝালকাঠিতে মহিলা সমিতির ৬২ লাখ টাক আত্মসাৎকারী সেই মাঠ সংগঠক নারী গ্রেফতার

কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী, ঝালকাঠি:

১৪টি পল্লী উন্নয়ন মহিলা সমিতির ১৩৫ জন সুবিধাভোগী সদস্যের কাছ থেকে ৬২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাতকারী মাঠ সংগঠক ইয়াসমিন আক্তারকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। এঘটনায় সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মিথুন মিস্ত্রী বাদী হয়ে গত ১০ আগস্ট ঝালকাঠি থানায় মামলা করেন ( মামলা নং- ৭, ধারা ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরেফিন ইসলাম আত্মসাতকারী ইয়াসমিন আক্তারকে শনিবার দুপুরে গ্রেফতার করেন।

আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে ইয়াসমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার।

মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানাগেছে, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) মাঠ সংগঠক ইয়াসমিন আক্তার ১৪টি পল্লী উন্নয়ন মহিলা সমিতির ১৩৫ জন সুবিধাভোগী সদস্যের কাছ থেকে ৬২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। এর মধ্যে ৭২জনের চেক জালিয়াতি করে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলে নেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে টাকা আত্মসাতের পর থেকে তিনি নিজেও আত্মগোপনে চলে যান।

ইয়াসমিন আক্তার বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার মো. হাবিবুল্লার মেয়ে। তিনি উত্তর বৈদারাপুরের পাঁচ লাখ ২০ হাজার, চাঁদপুরার চার লাখ ২০ হাজার, বেরপাশার ৭০ হাজার, উত্তর নৈকাঠির তিন লাখ ৮০ হাজার, সারেঙ্গলের দুই লাখ ৪০ হাজার, প্রতাপমহলের ১০ লাখ ৮৫ হাজার, পোনাবালিয়ার পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার, হাজরাগাতির ছয় লাখ ৬০ হাজার, দেউলকাঠির দুই লাখ, উত্তর বৈদারাপুরের এক লাখ ৪০ হাজার, উত্তর গাবখানের এক লাখ ৮০ হাজার, দক্ষিণ গাবখানের চার লাখ ৪০ হাজার, পশ্চিম গাবখানের পাঁচ লাখ ৪০ হাজার রয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেকের কাছ থেকে ধার হিসেবে নেওয়া টাকাসহ প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

ঝালকাঠি থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন সরকার বলেন,‘টাকা আত্মসাতের মামলায় বিআরডিবির মাঠ কর্মী ইয়াসমিন আক্তারকে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন