অনলাইন ডেস্ক:
আদালত প্রাঙ্গণে ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিম ও ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলার সময় গেটের সামনে এই স্লোগান দেন তারা। এসময় হাজী সেলিমের ছেলে সোলাইমান সেলিম বলেন, জয় বাংলা। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমদের ভাগ্নে আলী আজম মুকুল বলেন, জয় বঙ্গবন্ধু। এরপর সোলাইমান বলেন, জয় বঙ্গবন্ধু, তখন মুকুল বলেন, জয় বাংলা। এরপর সোলাইমান সেলিম বলেন, শেখ হাসিনা আবার আসবেন।
রাজধানীর চকবাজার এলাকায় মো. রাকিব হাওলাদারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে চকবাজার থানার মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সোলাইমান সেলিমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুরের কলেজ শিক্ষার্থী নাহিদ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমদের ভাগ্নে এবং ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার গভীর রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে সোলায়মান সেলিমকে গ্রেফতার করে চকবাজার থানা পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় ৭টায় রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে র্যাব ২-এর সদস্যরা মুকুলকে গ্রেফতার করে।
সোলাইমানের মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সকালে চাঁনখারপুল মোড়ে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও এলোপাথাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে মো. রাকিব হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত রাকিবকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে চকবাজার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মুকুলের মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর এলাকায় এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনের নামে মামলা করেন নিহতের ভগ্নিপতি ও চাচাতো ভাই। এ মামলায় মুকুল ১৬ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামি।