বাণিজ্য ডেস্ক :
জ্বালানি তেলের চড়া দামের পাশাপাশি বিমান ভাড়া বাড়ার কারণে এবার হজের খরচ বাড়তে পারে। তবে হজযাত্রীদের কথা চিন্তা করে বিমান ভাড়া সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার সুপারিশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম বলেন, দুই-একদিনের মধ্যে হজ সংক্রান্ত খরচের বিস্তারিত পেয়ে যাব। এরপর আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করব।
গত বছর বিমান ভাড়া ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, যা ২০১৯ সালে ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। যেহেতু বিশ্বজুড়ে জ্বালানির দাম বেড়েছে, তাই বিমান ভাড়া বাড়তে পারে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, হজের ক্ষেত্রে ব্যয় সব দিক থেকে কমানোর বিষয়ে আমরা আশাবাদী। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হবে ডলার রেট নিয়ে। ডলারের রেট বেড়ে যাওয়ার কারণে খরচ কিছুটা বাড়তে পারে।
একই চাওয়া হজ অ্যাজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশেরও (হাব)। সংস্থাটিও বিমান ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে রাখার বিষয়ে আশাবাদী।
তবে সম্প্রতি সৌদির অভ্যন্তরীণ হজ পালনেচ্ছুদের জন্য খরচ কমানোর যে ঘোষণা দেয় সৌদি সরকার তা বাংলাদেশের জন্য কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
তিনি বলেন, সৌদি আরব হজ সংক্রান্ত খরচ ৩০ শতাংশ কমিয়েছে- এমন একটি খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসেছে। তবে এ খবরটি সঠিক নয়। বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য খরচ ৩০ শতাংশ কমায়নি সৌদি আরব। তাদের মূল হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুইটি প্যাকেজ রয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক, অন্যটি অভ্যন্তরীণ। সৌদি আরব মূলত অভ্যন্তরীণ হাজিদের প্যাকেজের খরচ ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। বস্তুত বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য তারা কোনো খরচ কমায়নি।
সামর্থবান মুসলমানের জন্য ফরজ ইবাদাত হজ। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে সোয়া ১ লাখ মানুষ হজ করতে পারলেও, করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে গত বছর সীমিত পরিসরে হজের সুযোগ পান ৬০ হাজার বাংলাদেশি। করোনা মহামারির প্রকোপ কমায় এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন মুসল্লি হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
চলতি মাসের শেষ দিকে হজ প্যাকেজ ঘোষিত হওয়ার কথা রয়েছে।
