বালাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরুর দিনটা ছিল সাদামাটা। উদ্বোধনী দিনে ছিল না তেমন কোনো আয়োজন। কিন্তু শেষ দিনে তাই ভক্তদের হতাশ করল না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মেগা ফাইনালে বিদেশিদের নিয়ে কোনো চমক রাখতে না পারলেও নগরবাউল খ্যাত রকস্টার জেমসের সুরের মূর্ছনায় মাতল পুরো শেরেবাংলা।
শুধু জেমস নয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বনাম সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচের আগে মঞ্চ মাতিয়েছেন দেশসেরা ব্যান্ড ওয়ারফেজ ও ফিডব্যাকের সাবেক সদস্য মাকসুদুল হক।
অনুষ্ঠানের শুরুটা হয় মাকসুদুল হককে দিয়ে। এরপর বিকেল ৪টার পর মঞ্চে ওঠেন ওয়ারফেজ। তাঁর ‘পূর্ণতার’ছোঁয়ায় কিছুক্ষণ মাতিয়ে রেখেছেন ভক্তদের। ওয়ারফেজের পরপর ভক্তদের জন্য মঞ্চে পা রাখেন নগরবাউল খ্যাত রকস্টার জেমস।
কবিতা তুমি স্বপ্নচারীনি হয়ে খবর নিও না …গান দিয়ে শুরু করেন জেমস। এরপর একে একে পদ্ম পাতার জল, পাগলা হাওয়ার তরে, মা, মিরা ভাইতে—মাতিয়ে তোলেন পুরো স্টেডিয়াম। নগবাউলের সঙ্গে মেতে ওঠেন ভক্তরাও। জেমসের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে আওয়াজ তোলেন শেরেবাংলায়।
সূচি অনুযায়ী ৬টি গান নিয়ে বিকেল ৫টা ৪০ পর্যন্ত স্টেজে থাকার কথা জেমসের। কিন্তু ভক্তদের জন্য নগবাউল রইলেন আরও কিছুক্ষণ। চার-ছক্কার মারের আগে নিজের সুর দিয়ে জেমস মাতালেন টসের আগ পর্যন্ত।
এরপর শিরোপার লড়াইয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ফাইনাল শেষেও দর্শকদের জন্য আয়োজন থাকছে ‘হোম অফ ক্রিকেটে’। ম্যাচ শেষে চোখ ধাধানো ফায়ারওয়ার্কস, বিম শো এর আয়োজন রেখেছে বিসিবি।
বিপিএলের আগের আসরগুলোতে অবশ্য সালমান খান, ক্যাটরিনা কাইফ, হৃত্বিক রোশনের মতো নামিদামি তারকারা মঞ্চ মাতিয়ে গিয়েছিলেন। এবারও সমাপনী অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল বলিউড তারকা নোরা ফাতেহির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে না আনলেও দেশীয়দের নিয়ে দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।