বাণিজ্য ডেস্ক:
দেশে জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধারা শপিং সেন্টারে বাজুস কার্যালয়ে ‘জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে একথা জানায় বাজুস।
সেমিনারে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় কারিগরি শিক্ষার উপর গুরত্ব দিচ্ছেন। জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর জন্য বাজুস যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়।
জুয়েলারি কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা একটি গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুয়েলারি শিক্ষা ব্যবস্থার ইকুপমেন্ট আমাদের আছে কিন্তু কোনো কোর্স চালু নেই, বাজুস শুরু করলে এটাকে একটা বড় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, দেশের জুয়েলারি শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগরদের কারিগরি শিক্ষা প্রয়োজন। ডিপ্লোমা কোর্স চালু করলে কারিগররা আরও শিখতে পারবে। তাই জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব প্রদানের জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাজুসের সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসান বলেন, দেশের অনেক কারিগর আছেন যাদের শিক্ষিত করতে পারলে আরও এগিয়ে যাবে জুয়েলারি শিল্প। আরেক সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, কারিগরি শিক্ষা নিতে পারলে জুয়েলারি শিল্পে আউটপুট আরও ভালো আসবে।
বাজুসের সহ-সভাপতি মো. জয়নাল আবেদিন খোকন বলেন, কারিগররা সঠিক মূল্যায়নের অভাবে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। এদেরকে ধরে রাখতে হলে কারিগরি শিক্ষাটা আমাদের জরুরি।
সহ-সভাপতি সমিত ঘোষ বলেন, দেশের কারিগররা তেমন শিক্ষা পায় না। পেলে আরও ভালো কাজ পাওয়া যাবে কারিগরদের থেকে।
বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশে এখনও গার্মেন্টস শিল্পের বিকল্প তৈরি করা সম্ভব হয়নি। জুয়েলারি ইনস্টিটিউট তৈরি করতে পারলে গার্মেন্টস শিল্পের বিকল্প তৈরি করা সম্ভ হবে।
বাজুসের কোষাধ্যক্ষ উত্তম বনিক বলেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশে অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে জুয়েলারি শিল্প।
সেমিনারে বাজুসের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজার, দেশীয় বাজার এবং সাধারণ ভোক্তাদের বিবেচনায় রেখে দেশীয় বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়।। বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের স্বপ্ন দেশে একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘বাজুস ইনস্টিটিউট’ গড়ে তোলা। জুয়েলারি খাতে উদ্যোক্তা তৈরি করা। জুয়েলারি শিল্পকে শীর্ষ রফতানির খাত হিসেবে তৈরি করা।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সহ-সম্পাদক ফরিদা হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, মো. শামসুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিচালক এস এম শাহজাহান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর সদস্য বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী প্রমুখ।