আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দুদিন বাদেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলন উপলক্ষে আরও ৪০০ নতুন ইলেকট্রিক বাস বা ই-বাস নামিয়েছে দিল্লি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যদিয়ে ইলেকট্রিক বাসের সংখ্যার দিক দিয়ে ভারতের শীর্ষ শহরে পরিণত হয়েছে দিল্লি।
ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লি। পরিবেশ দূষণ কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানি তথা পেট্রোল ও ডিজেল চালিত বাস আস্তে আস্তে রাস্তা থেকে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এরই অংশ হিসেবে গত বছরের (২০২২) মে মাসে ১৫০টি ইলেকট্রিক বাস নিয়ে ই-বাস বহরের যাত্রা শুভ সূচনা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
চালু হওয়ার পরপরই সরকারের এই ই-বাস প্রকল্প দিল্লিবাসীর মধ্যে দুর্দান্ত সাড়া ফেলে। এরপর পরবর্তীতে এর সঙ্গে আরও প্রায় ২৫০টি বাস যোগ করা হয়। বিদ্যুৎচালিত এসব বাসের জন্য শহরের ১০টি এলাকায় চার্জিং ও ব্যাটারি বদলানোর স্টেশন তৈরি করা হয়েছে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে দুদিনব্যাপী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনের কারণে শহরে নিশ্চিতভাবেই মানুষের চাপ বাড়বে। সেই চাপ সামলাতেই নতুন করে আরও ৪০০ ইলেকট্রিক বাস নামানো হয়েছে। এর ফলে ই-বাসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০০-তে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন মতে, চলতি বছরের মধ্যে আরও ১ হাজার ১০০ ই-বাস যোগ করতে চায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। এখানেই শেষ নয়, আগামী দুই বছরের মধ্যে ইলেকট্রিক বাসের বহরকে আরও বড় করার পরিকল্পনা তাদের।
প্রতিবেদন মতে, সরকারের লক্ষ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে দিল্লিতে মোট ১০ হাজার ৪৮০ বাসের বিশাল বহর তৈরি করা। যার মধ্যে ৮ হাজার ২৮০টিই হবে ইলেকট্রিক বাস। এর মধ্যদিয়ে দিল্লিতে বার্ষিক কার্বনের পরিমাণ ৪ দশমিক ৬৭ লাখ টন হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শুধু দিল্লি শহরেই নয়, পুরো দেশজুড়েই ইলেকট্রিক বাস নামানোর বিশাল পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত সরকার। গত মাসেই দেশের ১৬৯টি শহরে ৫৮০ বিলিয়ন রুপি ব্যয়ে ১০ হাজার ইলেকট্রিক বাস নামানোর পরিকল্পনা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি মালিকানায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এতে কেন্দ্রীয় সরকার ২০০ বিলিয়ন রুপির জোগান দেবে। ইলেকট্রিক বাস তৈরিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সরকারি প্রণোদনাও দেয়া হচ্ছে।