খেলাধূলা ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ শেষে জিম্বাবুয়ে থেকে শুক্রবার (১২ আগস্ট) দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। এমিরেটসের একটি বিমানে বিকেল সোয়া ৫টা নাগাদ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখে টাইগার বহর।
জিম্বাবুয়েতে এবারের সফরটা দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজেও হেরেছে টাইগাররা। ট্রফি হাতে উদ্যাপন করেছে স্বাগতিক দল। জিম্বাবুয়ে হাসিমুখে এমন ফটোসেশন করবে, সিরিজ শুরুর আগে দলটির কজন ক্রিকেটারই-বা ভেবেছিল। ভুলতে বসা সিরিজ জয়ের এই উপলক্ষটা নিশ্চয়ই দীর্ঘদিন মনে রাখবে চাকাভা-সিকান্দার রাজারা।
জয়-পরাজয় খেলার অংশ। তবে বাংলাদেশের এই সিরিজ হার জন্ম দিয়েছে অনেক প্রশ্নের। ইনজুরির জন্য জিম্বাবুয়ে দলে ছিল না নিয়মিত অনেকেই। খর্ব শক্তির এই দলটার বিপক্ষেও রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ব্যাটিং-বোলিং বা ফিল্ডিং কোনোটাই হয়নি জুতসই। বাংলাদেশ স্কোয়াডেও ছিল ইনজুরি সমস্যা। তারপরও এমন হার প্রত্যাশিত ছিল না।
সমালোচনা হয়েছে মাহমুদউল্লাহ-শান্ত-তামিমের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে। প্রতিভার ফুলঝুরি নিয়ে আন্তর্জাতিক সার্কিটে পা রাখা শান্ত, উইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরে খেলেছেন সাকিবের বিকল্প হিসেবে। কিন্তু পূরণ করতে পারেননি প্রত্যাশার ছিটেফোঁটাও। গত এক মাসে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা ৮টি সীমিত ওভারের ম্যাচে একটিতেও স্পর্শ করতে পারেননি ফিফটি।
শান্তর ধারাবাহিক ব্যর্থতায় সামাজিক মাধ্যমে সরব ভক্তরা। বারবার মনে করেছেন ইমরুল কায়েসকে। কোনো অজানা কারণে যে ব্যাটার জাতীয় দলে একরকম নিষিদ্ধ। সবশেষ খেলেছেন প্রায় তিন বছর আগে। অথচ সবশেষ ১০ ওয়ানডেতে ২ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে ইমরুল কায়েসের আছে ৫০৫ রান। তারপরও নীতিনির্ধারকদের কাছে উপেক্ষিত এই ব্যাটার। বিস্তর সমালোচনা হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়েও। এক সময় ফিনিশার তকমা পাওয়া অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে অনেকেই এখন ব্যাঙ্গ করে ডট বলের ‘রাজা’ অভিধায় সম্বোধন করে থাকেন।