হোম আন্তর্জাতিক জাহাজে হুতিদের হামলা: সিদ্ধান্ত দেয় ইরান, ব্যবস্থাপনায় হিজবুল্লাহ!

জাহাজে হুতিদের হামলা: সিদ্ধান্ত দেয় ইরান, ব্যবস্থাপনায় হিজবুল্লাহ!

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 131 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লোহিত সাগরে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসে তেহরান থেকে। আর সেটার ব্যবস্থাপনা করে হিজবুল্লাহ। ইরানের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে সম্প্রতি এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

লোহিত সাগরে হুতিদের সঙ্গে ইসরাইল-সমর্থিত দেশগুলোর পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর-আইআরজিসি ও লেবাননের হিজবুল্লাহর কমান্ডাররা ইয়েমেনে অবস্থান করে লোহিত সাগরে হামলা চালাতে হুতিদের সরাসরি নির্দেশনা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে ইয়েমেন ও ইরানের কয়েকটি সূত্র।

রয়টার্স ওই সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানায়, হুতিদের অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও অর্থ দিয়ে সরাসরি সহায়তা করছে ইরান। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা শুরুর পর থেকে লোহিত সাগরে তেল আবিব সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে হুতিরা। তখন থেকেই তেহরানের পক্ষ থেকে অত্যাধুনিক ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে অস্ত্র সরবরাহ বাড়ানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লোহিত সাগর হয়ে প্রতিদিন চলাচল করা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর মধ্যে কোনগুলোর গন্তব্য ইসরাইল, সে বিষয়ে হুতিদের তথ্য ও গোয়েন্দা সহায়তা দিচ্ছে আইআরজিসির কমান্ডার ও উপদেষ্টারা। এর ভিত্তিতেই কোন কোন জাহাজে হামলা চালানো হবে, তা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

এদিকে বরাবরের মতো লোহিত সাগরে উত্তেজনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ইরান। অন্যদিকে তেহরানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে হিজবুল্লাহর সহায়তার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হুতির মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম।

এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান গালফ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক আবদুল আজিজ আল সাগের বলেন,
হুতিরা স্বাধীনভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে, এমনটা বলা যাবে না। তাদের কর্মী, দক্ষতা ও সক্ষমতা এত উন্নত নয়। প্রতিদিন বাব-এল-মান্দেব প্রণালী দিয়ে চলাচল করা কয়েক ডজন জাহাজের মধ্যে কোনটিতে আক্রমণ চালাতে হবে, সেটা নির্ধারণ করতে প্রয়োজনীয় জ্ঞান, কৌশল কিংবা স্যাটেলাইট তথ্য কোনোটিই নেই হুতিদের।

ইরানের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, হামলার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসে তেহরান থেকে। সেটার ব্যবস্থাপনা করে হিজবুল্লাহ। আর বাস্তবায়ন হয় ইয়েমেনের হুতিদের মাধ্যমে।

বিশ্লেষকদের মতে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার ঘটনা ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজেদের প্রভাব দেখানো এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টিতে তার যে সক্ষমতা রয়েছে, সেটাই প্রমাণ করতে চাইছে তেহরান। গাজায় যুদ্ধ চলতে থাকলে পশ্চিমাদের চড়া মূল্য দিতে হতে পারে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ আসতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিচ্ছে ইরান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন