স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে (বিকেএসপি) দেশের ক্রীড়া জগতের আঁতুড়ঘর বলা চলে সেই প্রতিষ্ঠানের নামেই উঠেছিল জালিয়াতির অভিযোগ। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আগামী বছর ঘরোয়া ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না বিকেএসপি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডিসিপ্লিনারি কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নাম বদলে ভিন্ন দলের ফুটবলারকে খেলানো এবং নিজেদের খেলোয়াড়কে অন্য দলে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিকেএসপি’র বিরুদ্ধে। সেই জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবার। চলতি বছর তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চকবাজার কিংস। সেই চকবাজার কিংসের কয়েকজন বিকেএসপি’র হয়ে দ্বিতীয় বিভাগে অংশ নিয়েছেন। আবার বিকেএসপি’র কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম বদলে চকবাজার কিংসের হয়ে তৃতীয় বিভাগে খেলেছেন।
পরিচয় বদলে দুই লিগে খেলার বিষয়টি বাফুফের নজরে এসেছে। বাফুফে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়, কোচ , কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে দোষ খুঁজে পায়। সেই প্রেক্ষিতেই বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি বিকেএসপি’কে আগামী মৌসুমে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি বেশ্চ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এই ঘটনায় বিকেএসপি’র সিনিয়র ফুটবল কোচ শাহীনুল হক এবং প্রশিক্ষক রবিউল ইসলামকে ফুটবল সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। খেলোয়াড়দের নাম-পরিচয় পরিবর্তনে এই কোচদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়ায় এই শাস্তি দিয়েছে বাফুফে। এর পাশাপাশি এই দুজনকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।
নাম পরিবর্তন করে খেলা তিন ফুটবলারকেও শাস্তি দিয়েছে বাফুফে। নিজের দলের পরবর্তী ছয় ম্যাচে তারা নিষিদ্ধ বিবেচিত হবেন। বিকেএসপিকেও নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ১ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানার ১ লাখ টাকা ৬ জানুয়ারির মধ্যে পরিশোধ করতে হবে তাদের।