জাতীয় ডেস্ক:
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার একমাত্র আসামি আলেপ শেক জামিনে বের হয়ে গলায় মালা পরে, ব্যান্ডপার্টি নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে নাচ-গান করেছে। এ সময় তার আত্মীয়সহ উৎসুক কিছু মানুষ পুরো গ্রামে উল্লাস করে। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণচেষ্টা মামলার একমাত্র আসামি আলেপ শেক (৬০) আদালত থেকে জামিন পায়। জামিন পেয়ে মামলার বাদীর বাড়ির আঙিনায় গিয়ে আসামি ও তার লোকজন নেচে-গেয়ে আনন্দ করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এর জন্য আসামির কঠিন শাস্তি দাবি করেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, চতুর্থ শ্রেণির ওই শিশুছাত্রীকে গত ২৪ জুলাই দুপুরে কাঁঠাল খাওয়ার লোভ দেখিয়ে নির্জন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় গ্রামের মুদি দোকানি আলেপ শেক। একপর্যায়ে কান্নাকাটির শব্দে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আলেপ শেক পালিয়ে যায়। ওইদিনই বিকেলে থানায় মামলা হলে পুলিশ আলেপ শেককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
গত বৃহস্পতিবার জামিন পেয়ে রাত ৯টায় আলেপ শেক গলায় মালা পরা অবস্থায় ব্যান্ডপার্টি নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ব্যান্ডপার্টি এবং কিছু মানুষের কোলাহলের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। শিশুটির পরিবার খুবই নিরীহ। তারা এখন আতঙ্কে আছে।
হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান তালুকদার বলেন, ধর্ষণচেষ্টা মামলায় জামিন পেয়ে কোনো আসামি এভাবে আনন্দ উৎসব করে বলে আমার জানা নেই। এতে ভুক্তভোগী শিশুটি আরও নিরাপত্তাহীনতা এবং সম্মানহানির অবস্থায় আছে। আমরা অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
প্রধান আসামি আলেপ শেকের ছেলে জীবন মিয়া বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের বাপ-দাদার আমল থেকে বিরোধ। মামলাটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। এই মামলায় এক মাস জেল খাটেন আমার বাবা। মামলাটি যখন ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছে তাই এ মিথ্যাচারের জন্য ব্যান্ডপার্টি বাজানো হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার ওসি মো. জিয়াউল মোর্শেদ কালবেলাকে জানান, আমি আজকে থানায় নতুন যোগদান করলাম। যোগদানের সাথে সাথেই বিষয়টি আমলে নিয়ে আজকে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ছাড়াও আমি আগামীকাল নিজেই সেখানে যাব।
তিনি বলেন, ধর্ষণ মামলাটি দ্রুত চার্জশিট করে দিব যাতে আসামি অতি দ্রুত সাজা পায়।