নিউজ ডেস্ক:
আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু এবং জুলাই সনদের আইনির ভিত্তিতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েকটি অভিন্ন দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নামছে জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসের দুই অংশ।
এই কর্মসূচিতে আরও কয়েকটি দল যোগ দিতে পারে। প্রাথমিকভাবে দলগুলো ঢাকাসহ সারা দেশে তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে। এরপর নতুন কর্মসূচি দেবে।
এই প্রেক্ষাপটে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। শুধু তাই নয়, দলটি নতুন কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারণায় নামতে চায়। তাদের লক্ষ্য—আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে একটি নির্বাচনী আমেজ তৈরি করা।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থী বাছাই, দলীয় ৩১ দফা, ইতিবাচক কাজের প্রচার, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ঘোষণা, ভোট চাওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজও গুছিয়ে আনা হচ্ছে।
সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে অংশ নেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি) এবং স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বৈঠক শেষে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, বিএনপি মনে করছে—অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি তাদের সাংবিধানিক অধিকার। এগুলো নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল। তবে বিএনপিও নিজেদের জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করে মাঠে নামবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তাদের সেই অধিকার আছে। তারা যদি রাজনৈতিক কৌশল নেয়, বিএনপি তার জবাব দেবে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই।’
বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নেতারা বলেন, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ হলেও প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এখনই দলকে পুরোপুরি নির্বাচনমুখী করতে হবে। এ লক্ষ্যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশের কাজ দ্রুত শেষ করার ওপর জোর দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ৩১ দফার আলোকে ইশতেহার প্রণয়ন করছে বিএনপি। একইসঙ্গে আগামী নির্বাচনে প্রতিটি আসনে দলীয় একক প্রার্থী দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব এড়াতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।