বাণিজ্য ডেস্ক :
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মিনশি। তিনি বলেন, অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। জাপানও এখানে বিনিয়োগ করেছে। জাপানের কাছ থেকে আরও বড় ধরনের বিনিয়োগ আশা করে বাংলাদেশ।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশেন করবে, তখন বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্য সুবিধা পেতে পিটিএ বা এফটিএ-এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য আমরা কাজ করছি। তখন বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
বাণিজ্য সুবিধা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাপানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সুবিধার্থে একটি জয়েন্ট স্টার্ডি গ্রুপ কাজ করার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনরে পর এফটিএ বা পিটিএ-এর মতো বাণিজ্য সহযোগিতা চুক্তি করে উভয় দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিযোগ বাড়ানোর জন্য কাজ করা হবে।
তিনি জানান, এরইমধ্যে জাপান এ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছে, সে মোতাবেক কাজ চলছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা সফর বিনিময় করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত সহজ হবে।
আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, জাপান সরকার বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশেনের পর জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, জাপানের অনেক বিনিয়োগ এখানে আছে; বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে জাপান আগ্রহী। জাপান-বাংলাদেশ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) স্বাক্ষরের জন্য করণীয় ঠিক করতে সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিশেষদের নিয়ে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।
তার মতে, বাংলাদেশও একই ধরনের দক্ষ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গ্রুপ গঠন করলে কাজ অনেক সহজ হবে। এতে দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতিনিধি থাকবে। যাতে করে সঠিকভাবে এ বিষয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সঠিক সময়েই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশেন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মাহবুবুল হক উপস্থিত ছিলেন।