হোম অন্যান্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হঠাৎ উত্তাপ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হঠাৎ উত্তাপ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 33 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
দাবি আদায়ে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করলে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের বাধা দিয়েছে পুলিশ। এসময় আন্দোলনকারী সচিবালয়ের এলাকা সরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তারা তা মানেননি। পরবর্তী সময়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ছয়টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে বলে জানা গেছে।

রবিবার (১৫ জুন) প্রেসক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকে এই ঘটনা ঘটে। সকালে শিক্ষকরা ‘লংমার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশে জমায়েত হন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে তারা সচিবালয় অভিমুখে রওনা হন।

তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— ১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে; ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে এবং আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ-র সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর আড়াইটা) আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি, ঘটনাস্থলে পাঁচ থেকে ছয় জন আহত হয়েছেন। সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সচিবালয় অভিমুখে তাদের লং মার্চ কর্মসূচি ছিল। সকাল থেকেই তারা (আন্দোলনকারী) প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালন করেছেন। হঠাৎ দুপুর দেড়টার দিকে তারা এখানে (সচিবালয়ের সামনে) এসেছিল। আমি জেনেছি, প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছিলেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৭তম নিবন্ধনধারীরা।’

তিনি আরও বলেন, ওনাদের আমি পাঁচ জনকে সচিবালয় পাঠিয়েছিলাম, যেন সংশ্লিষ্ট দফতরে গিয়ে কথা বলে এ বিষয়ের আপডেটগুলো জেনে আসেন। তো তাদের এই পাঁচ জনই গিয়েছেন। পরে ওরা (আন্দোলনকারীরা) মনে হয় এরকম বলেছেন যে—সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা যাবেন না বা এর বাইরে আর কোনও সুযোগ নেই।

পরে আন্দোলনকারী লিংক রোডে চলে আসেন। যেখানে পুলিশের একটা ব্যারিকেড আছে উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যারিকেডটা যখন ভাঙার চেষ্টা করে তখন পুলিশ প্রথমে বাধা দেয়। ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু তারপরও তারা মানছিলেন না, একটু বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিলেন।’

মাসুদ আলম বলেন, ‘সচিবালয়ে তো আমরা আসলে যেতে দিতে পারি না। ওখানে তো ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের মনে হয় এক দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এতে আমাদের দুই-একজন পুলিশ সদস্যও সামান্য আহত হয়েছেন।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন