জাতীয় ডেস্ক:
ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী নভেম্বরে ঘোষণা করা হবে তফসিল। আর নতুন বছরের শুরুর দিকে হতে পারে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজনীতির মাঠ। ব্যস্ত সময় পার করছে নির্বাচন কমিশনও।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত কর্মকর্তাদের নির্বাচন নিয়ে বার্তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেছেন, নির্বাচনে কোন দল আসলো না আসলো সেটি বিষয় না, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই নির্বাচন সফল।
সিইসি বলেন, জনগণকে দেখতে হবে যে নির্বাচনে ফেয়ারনেস ছিল। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পেরেছেন। ভোট দিতে পেরেছেন। এটুকু যদি আমরা সবাই দেখাতে পারি, কে আসলো কে আসলো না, জনগণ যদি আসে, ভোটাররা যদি আসে, ভোটাধিকার প্রয়োগ করে, তাহলে আমি যদি আপেক্ষিক অর্থে বলি নির্বাচনে একটা বড় সফলতা অর্জন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্বাচন আয়োজন কঠিন কর্মযজ্ঞ, সহজ নয়। চাইলাম হয়ে গেলো ওরকম নয়। আপনাদেরকে, যারা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং আপনাদের সহকর্মীদের রাত-দিন পরিশ্রম করতে হবে। যেহেতু দায়িত্বটা আপনাদের, আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, আমাদেরকে নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে।
নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এর অর্থ নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। সিইসি হিসেবে আমার অনুরোধ, আমার কমিশনে যারা আছেন, আপনারা (জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) যারা আছেন এই চেষ্টা করতে হবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে যে, জনগণের কাছে নির্বাচনটা গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা ১২০০ নির্বাচন করেছি। প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেভাবে সহযোগিতা পেয়েছি আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ। পেশাদারিত্বের সাথে আপনারা দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা থাকবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও আপনারা রাষ্ট্রের, সরকারের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তাভাবনার ঊর্ধ্বে থেকে পক্ষপাতহীন দৃষ্টভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জনে সমর্থ হবেন। আপনাদের সহায়তায় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষিত হবে। কোনো অঘটন ঘটবে না, সহিংসতা হবে না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে আমি এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।