নড়াইল অফিস :
জাতীয় আর্চারি প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে নড়াইলে চলছে অনুশীলন ক্যাম্প। জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বাংলাদেশ পুলিশের পৃষ্ঠপোষকতায় বীরশ্রেষ্ট নূর মোহাম্মদ ষ্টেডিয়ামে দীর্ঘমেয়াদী এ ক্যাম্পে সকাল বিকাল কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন আর্চাররা। দেশসেরা আর্চার হবার স্বপ্নকে লালন করে ভারতীয় কোচের তত্বাবধানে বিশ্বমানের এ অনুশীলনে খুশি অংশগ্রহনকারি টিমের সদস্যরা। শিষ্যদের পারফরমেন্সএ সাফল্য ছিনিয়ে আনার ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদি কোচ নিশীথ দাশ। সম্ভাবনাময় খেলা আর্চরির উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার কথা জানান জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু।
অনুশীলনের শুরুতে দৈহিক সক্ষমতা বা ফিটনেস আনতে স্বল্প দূরত্বে তীর ছোড়া হয়। এরপর ৫০ মিটার দূরত্বের লক্ষ ভেদে কম্পাউন্ডবো এবং ৭০ মিটার দুরত্বে ওলিম্পিক রাউন্ডে রির্কাববো নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুশীলন। প্রতিবারে ছোড়া হয় ৬টি করে তীর। এক পর্ব নিক্ষেপ শেষ করে নিক্ষিপ্ত তীর টার্গেট বোর্ড থেকে সংগ্রহে বিরতি দেয়া হয়। এভাবে ৬ পর্বে প্রত্যেক তীরন্দাজ মোট ৩৬টি তীর ছোড়েন। এর প্রতি স্কোরে নির্ধারিত ৩৬০ পয়েন্টের বিপরীতে প্রত্যেকের অর্জন বিচার বিশ্লেষনের মধ্য দিয়ে চলে কঠোর অনুশীলন। পশ্চীমবঙ্গের খ্যাতিমান কোচ নিশীথ দাসের নিবিড় তত্বাবধানে অভিষ্ট লক্ষ ভেদে অনুশীলনে অংশ নেয়া প্রত্যেকে এ ভাবে প্রতিদিন সকাল বিকাল মোট ৩০০ তীর ছুড়ে থাকেন। এ ছাড়া নবাগতদেরও দেয়া হচ্ছে বুনিয়াদি নানা প্রশিক্ষণ। উপযুক্ত পারিপার্শিক পরিবেশে ভালো অনুশীলনের মাধ্যমে কাঙ্খিত সাফল্যের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদি প্রশিক্ষনার্থীরা।
কোচ নিশীথ দাস বলেন,সিনিয়র জুনিয়র প্রেয়ার নিয়ে ভালোই প্রাকট্রিস হচ্ছে । আর আমার প্রথম টার্গেট হচ্ছে নড়াইলকে চ্যাস্পিয়ান করার, এখানে প্রস্তুতি অনেক ভালো, আমাদের মূল লক্ষ্য জাতীয় আর্চারিতে আধিপত্য বিস্তার করা।
নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু বলেন, আর্চারি প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হয়েছে । আমরা এখানে অনেক ভালো করবো,আগামী আরো ভালো প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বাংলাদেশ পুলিশ আর্চারি দলের মোট ৪৩জন নারি ও পুরুষ আর্চার দীর্ঘমেয়াদী এ ক্যাম্পে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন। যাদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের রয়েছেন ৮জন ।