হোম আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরের মধ্যেই কিয়েভে বড় হামলা রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরের মধ্যেই কিয়েভে বড় ধরনের দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট।

এরমধ্যেই ইউক্রেনকে সহায়তার উদ্দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৩৩শ’ কোটি ডলারের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ায় সরাসরি কোনো আক্রমণ করবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরের মধ্যেই কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। একের পর এক রকেট হামলায় কিয়েভের শেভচেঙ্কো জেলায় বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ঘটনায় হতাহত হয়েছেন অনেকেই। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ হামলার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘকে অমান্য করার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এর আগে, কিয়েভে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, যুদ্ধ পুরোপুরি অর্থহীন। ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে জাতিসংঘ সনদ ভঙ্গ করেছে রাশিয়া। জাতিসংঘ যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে ২০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় মানুষের কাছে জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা পৌঁছেছে। মারিওপোলের সংকট কাটাতেও জাতিসংঘ ইউক্রেনে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলেও অভিযান জোরদার অব্যাহত আছে রুশ সেনাদের। এরমধ্যেই ইউক্রেনে রেকর্ড ৩,৩০০ কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের ভাষণে বাইডেন বলেন, মার্কিন কংগ্রেসে এ প্যাকেজ অনুমোদনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। রাশিয়ায় আক্রমণে ইউক্রেনকে আহ্বান জানাচ্ছে পশ্চিমারা ক্রেমলিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের এমন মন্তব্যের পর বাইডেন বলেন, রাশিয়ায় কোনো আক্রমণ চালাবে না যুক্তরাষ্ট্র। বরং সামরিক খাত, অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তার উদ্দেশেই কিয়েভে সহযোগিতার পরিকল্পনার কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এদিকে, কিয়েভে সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখলে রুপ নিতে পারে পারমাণবিক যুদ্ধে, ক্রেমলিনের এমন মন্তব্য ইউক্রেনে রুশ সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রমাণ বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। তবে কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ গোটা ইউরোপের জন্যই নিরাপত্তা হুমকি বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।

অন্যদিকে, যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলেও ইউক্রেনকে সহায়তায় প্রস্তুত পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে এক সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন ন্যাটো মহাসচিব। উত্তেজনার মধ্যেই ন্যাটোতে সুইডেন-ফিনল্যান্ডের যোগ দেয়ার প্রক্রিয়া খুব শিগগিরই শুরু হতে পারে বলেও আভাস দেন তিনি। অবশ্য ফিনল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলছেন, সদস্যপদের আবেদনের ফলে মস্কোর দেওয়া বাল্টিক অঞ্চলে নিরাপত্তা হুমকি আরো জোরালো হতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন