হোম জাতীয় জাতিসংঘের কৌশল অনুসরণ করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি

জাতীয় ডেস্ক:

সড়কে প্রাণহানির সংখ্যা কমাতে হলে সড়ককে নিরাপদ করতে হবে। এ জন্য জাতিসংঘ নির্ধারিত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে নতুন করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রোববার (১৯ নভেম্বর) ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমবারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এই সেমিনার ও র‌্যালির আয়োজন করে।

রোডক্র্যাশে হতাহতদের স্মরণে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমবারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো, ‘আমরা স্মরণ করি যারা রোডক্র্যাশে মারা গেছেন তাদের, সহায়তা নিয়ে থাকতে চাই আহতদের পাশে এবং জীবন বাঁচাতে নিতে চাই কার্যকর উদ্যোগ’।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পনুর্বাসন প্রতিষ্ঠান-নিটোরের সামনে থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যগণসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

শোভাযাত্রা শেষে নিটোরের মিলনায়তনে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমনণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। তিনি বলেন, আমাদের সড়কগুলোতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যে যেভাবে পারছে সড়ক ব্যবহার করছে। ফলে দেশে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং আইন মানার সদিচ্ছা থাকতে হবে।

নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী শামীম উজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)। তিনি বলেন, পথের দুর্ঘটনা রোধে উন্নত দেশের মতো জাতিসংঘ স্বীকৃত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে সড়ক নিরাপত্তা আইন করা প্রয়োজন।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের ইন-কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম বলেন, সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হলে প্রথমেই প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা উদঘাটন করে এর সমাধান করা উচিত।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোনায়েম হোসেন ও সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন