হোম জাতীয় জাকারিয়া ফকির হত্যা: মামলা তুলে নিতে হুমকি স্বজনদের

জাতীয় ডেস্ক:

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জাকারিয়া ফকির হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার স্বজনদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।

জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চাপুলিয়া এলাকার মৃত হারুন ফকিরের ছেলে জাকারিয়া ফকিরের সাথে একই এলাকার মোরাদ মোল্যার বিরোধ ছিল।

এই বিরোধের জেরে গত ২০২০ সালের ২৮ মার্চ মোরাদ মোল্যার নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জাকারিয়া ফকিরের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ মার্চ জাকারিয়া মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম ৩২ জনকে আসামি করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ মামলার ১১ এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। এছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত ১৮ জন আসামি স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

বর্তমানে হত্যা মামলার সব আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এলে প্রধান আসামি মোরাদ মোল্যার নেতৃত্বে আরও কয়েকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদী ও নিহতের স্বজনদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ। এতে মামলার বাদী ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছে পরিবারটি।

নিহত জাকারিয়ার ভাই জিয়াউর রহমান বলেন, ‘মুরাদ মোল্যার নেতৃত্বে আরও কয়েকজন আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের নানারকম হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের গরু দিয়ে আমাদের ফসলের ক্ষেত নষ্ট করছে। আমি নিষেধ করতে গেলে তারা আমাকে মারধর করার হুমকি দিয়েছে। এখন আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’

জাকারিয়ার বোন শরিফা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমি শ্বশুর বাড়ি থাকি। মাঝেমধ্যে বাবার বাড়িতে আসার পথে মামলা তুলে নিতে মুরাদ মোল্যা আমাকেও বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়।’

জাকারিয়ার বৃদ্ধ মা তাসলিমা বেগম এখনও শোকে কাতর। ছেলে হারানোর সেই আহাজারি আজও শেষ হয়নি। মরার আগে ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখে যেতে চান তিনি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে হত্যা মামলার আসামি মোরাদ মোল্যা বলেন, ‘আমি এখন বাড়িতে থাকি না। আমি লোহাগড়া থাকি। তাই বাদীর পরিবারকে হুমকি দেয়ার প্রশ্নই আসে না।’

আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আবু তাহের বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিলে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন