অনলাইন ডেস্ক :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে নারীদের জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রাথমিকভাবে এটি ১০ থেকে ১৫ বছরের শিশুদের শরীরে দেওয়া হবে। বর্তমানে মহিলাদের ক্যানসারে মৃত্যু সব থেকে বেশি জরায়ু ক্যানসারে। এই ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ফলে, দেশে জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার অনেকটা কমে যাবে।’
আজ সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশব্যাপী প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক সভায় একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন রকমের উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে এবং জেলা, উপজেলা হাসপাতালের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ের হাসপাতালেও স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করা নিয়ে ব্যাপক উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ প্রজেক্ট এর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে দেশের দরিদ্র ১৫ লাখ পরিবার এর ৬০ লাখ মানুষের প্রতিজনকে বিনামূল্যে সরকারি ওষুধের বাইরে আরও ৫০ হাজার টাকার ওষুধসহ স্বাস্থ্যসেবা চিকিৎসা সামগ্রী দেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশে বর্তমানে ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিসের মতো কঠিন ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভেজাল খাদ্য, অনিয়ন্ত্রিত লাইফ স্টাইল, বায়ুদূষণসহ নানা কারণে এই অসংক্রামক রোগগুলোতে দেশের শতকরা ৬৭ ভাগ মানুষ মারা যাচ্ছে। এই রোগগুলোর চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি। এজন্য সরকার অসহায়, দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা ব্যয়ের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ৬টি জেলায় এই ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজের আওতায় আনা হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে কুড়িগ্রাম, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনামূলক মিনি পকেট হেলথ গাইড বই দেওয়া হয়েছে বলে জানান। দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করতে প্রাথমিকভাবে ৫০০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্য সেবা দৈনিক ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে মাসের ৩০ দিনই ২৪ ঘণ্টা সেবা ব্যবস্থা চালুর কাজ চলমান আছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) সৈয়দ মজিবুল হক, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ অন্যান্য যুগ্মসচিব ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।