হোম অন্যান্যসারাদেশ জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব গাইবান্ধায় হত্যা মামলায় তিন ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব গাইবান্ধায় হত্যা মামলায় তিন ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 113 ভিউজ

সংকল্প ডেস্কঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে প্রতিপক্ষের পাতানো বিদ্যুতের ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চাচাতো ভাই-বোন নিহতের ঘটনায় তিনভাইকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক এই আদেশ দেন। এছাড়া এই মামলায় আদালত আরও তিন নারীকে খালাস প্রদান করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন সুন্দরগঞ্জের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে হযরত আলী (৫৫), হাবিজার রহমান (৩২) ও আজিজল হক (২৭)। নিহত চাচাতো ভাই-বোন হলেন তসলিম উদ্দিন (৩৫) ও মর্জিনা বেগম (৩০)। মামলা ও বাদী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ৮০ শতক জমি নিয়ে সুন্দরগঞ্জের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের মফিজল হকের ছেলে তসলিম উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল হোসেনের ছেলে হযরত আলীর বিরোধ ও মামলা চলছিল। মামলার রায় পেয়ে তসলিম উদ্দীন ওই জমিতে আমন ধান রোপণ করেন। এই জমির ধান কাটার খবর শুনে ২০১৬ সালের ১১ নভেম্বর রাতে জমিতে জিআই তার পেতে রেখে নিজের রাইস মিল থেকে তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেন হযরত আলী ও তার ভাইরা।

পরদিন ১২ নভেম্বর সকালে ওই জমিতে কয়েকজন নারী ও পুরুষ শ্রমিক নিয়ে তসলিম উদ্দিন ধান কাটতে যান। কিন্তু জিআই তারে বিদ্যুৎ থাকার বিষয়টি না জানায় জিআই তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই তসলিম উদ্দিন ও সাইদুর রহমানের স্ত্রী মর্জিনা বেগম মারা যান। এছাড়া মেহের আলী ভোলার ছেলে শহিদুল হক, এনামুল হকের স্ত্রী মর্জিনা বেগম ও তসলিম উদ্দিনের স্ত্রী জমিলা খাতুন গুরুতর আহত হন। পরে এ ঘটনায় তসলিম উদ্দিনের বাবা মফিজল হক সাতজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, এই হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলা চলাকালীন অবস্থায় এক আসামীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামীর মধ্যে দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ও অপরজন পলাতক রয়েছেন। পরে আসামীদের গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গাইবান্ধা জেলা কারাগারে কনডেম সেল না থাকায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের রংপুর কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন