নিউজ ডেস্ক:
স্বাধীনতাবিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধকে নিচে নামিয়ে দিয়ে চব্বিশের আন্দোলনকে বড় করে দেখাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি ১৫ বছর সংগ্রাম করেছে। তারা এককভাবে কৃতিত্ব দাবি করলে আমরা মানতে রাজি নই।’
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সে সময় বিএনপি নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে বলে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন পর্যন্ত যত বাধা এসেছে সব আপনারা দিয়েছেন। জনগণকে বোকা বানাবেন না।
পরিকল্পিতভাবে কিছু শক্তি বিভক্তি আনতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একাত্তরকে ভুলিয়ে দেয়ার অবকাশ নেই। কারণ একাত্তর আমাদের অস্তিত্ব। অতীতকে স্মরণ করেন। তারা মুক্তিযুদ্ধকে গোলমাল বলার চেষ্টা করেছিল। পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হত্যা করেছে তারা।’
বিএনপি নির্বাচন পেছাচ্ছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। আমরা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছিলাম। নির্বাচন হলে অপশক্তিগুলো মাথা তুলতে পারতো না।’
জুলাই জাতীয় সনদে যা পাস হয়েছে, সব বিএনপির ৩১ দফায় রয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি সংস্কারপন্থি। কিন্তু জনগণকে বোকা বানিয়ে নয়, তাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। তারা (ঐকমত্য কমিশন) স্বাক্ষরের নোট অব ডিসেন্ট রেখেছিল। এখন তারা সেগুলো বাদ দিয়ে দিয়েছে। এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।’
‘আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি। রাস্তায় নামিনি। প্রধান উপদেষ্টার বাড়ি বা নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করিনি। একটি দল আন্দোলন করে সব চাপিয়ে দিতে চায়,’ যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
দেশ কঠিন সময় পার করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গণভোটের প্রয়োজন ছিল না। তারপরও রাজি হয়েছি। তারা এখন গণভোট আগে চায়। নির্বাচন ঘিরে প্রধান উপদেষ্টা হামলা হতে পারে- এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু কারা করতে পারে তা স্পষ্ট করা উচিত ছিল।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাসিনা গণমাধ্যমে কথা বলছে, কিন্তু ক্ষমা চায়নি। সে ভারতে বসে অপপ্রচার চালাচ্ছে, ভারতকে বলব, হাসিনাকে ফেরত দিন। তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
