বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির একমাত্র ছেলে শাহীম মুহাম্মদ পদ্মর প্রথম জন্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট)। এ দিন রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জমকালো আয়োজনে উদ্যাপন করা হয়েছে জন্মদিন।
এদিকে জন্মদিন উপলক্ষে ছেলের জন্য একটি খোলা চিঠি লিখেছেন এ নায়িকা। সেই চিঠি আবার ভিডিও আকারে নিজের কণ্ঠে পড়েছেনও অভিনেত্রী।
চার মিনিট তেরো সেকেন্ডের ভিডিওতে পরী তার সব আবেগ ভালোবাসা উজাড় দিয়েছেন ছেলের জন্য।
ভিডিওতে পরীমণিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বাজান, বড় হয়ে যখন এটা তুমি দেখবে, তখন বুঝবে গলায় আটকে থাকা কান্না গিলে গিলে, মা তোমাকে বলেছিল এই সেই আনন্দের দিন। যেদিন তুমি আমার বুকে এলে, ছোট্ট দুটি হাত ধরে। কী মনে হচ্ছিল জানো, পরী সত্যিকারের দুটো ডানা পেল। কী আনন্দ, কী আনন্দ! বড় হয়ে লাল পরী, নীল পরী হাজার পরীর ভিড় শুধু জানবে, তুমি এই মা পরীর দুটো ডানা হয়ে জন্মেছিলে।’
“আমি তোমার বুকে কান পেতে শুনি, ‘মা’। গায়ে গা ঘেঁষে, বুকে মিশে থেকে ঘুমের ঘোরে কিংবা জেগে থেকে তোমার চোখের দৃষ্টিজুড়ে যেন শুধু আমি, মা আর মা। তোমার জগৎজুড়ে যেন শুধু একটাই শব্দ, ‘মা’। আর এই মা-টা আমি। ভাবতে ভাবতে দেখ, কখন যে আমাদের এক বছর পেরিয়ে গেল। তোমার গায়ের ঘ্রাণে বেঁচে আছি আমি। তোমার কান্নায়, হাসিতে, খেলায় কী দারুণ বেঁচে আছি আমি। দুঃখ আর আমাকে ছুঁতেই পারে না।”
‘তোমার সঙ্গে রূপকথার রাজ্যের পৃথিবী আমার। টগবগ করে রাঙা ঘোড়ায় চড়ে আমার পালকির পাশে পাশে চলবে। পথে পথে যত দস্যুই আসুক, তুমি বলবে আমি আছি, ভয় নেই মা। আমার সত্যিকারের বীর পুরুষ হবে তুমি। আমার সকল শূন্যতার পাশে তুমি এক হয়ে জুড়ে গেছ। তাই তো আমাদের এই সংখ্যা দশ।’
‘মনে রেখ, এই তারিখটা কিন্তু তোমার। এই দিনটা তোমার বিশেষ দিন।’
‘এই আজ যেমন আমি আমরা সবাই ধুমধাম করে তোমার জন্মদিনটা উদ্যাপন করছি, তুমিও কিন্তু কর। মা যখন থাকবে না বেঁচে তখনও করবে, ঠিক আছে? শত পুণ্যে আমি তোমাকে পেয়েছি। এই দেখ আমরা তোমার প্রথম মাসের দশ তারিখটা সেলিব্রেট করেছি। কত্ত ছোট্ট তুমি। শুধু একটু কান্না করতে পার তখন। তারপর দুই মাস, তিন মাস, চার, পাঁচ, ছয় দেখ কেমন মাস চলে যায়। কাছের মানুষও ছেঁড়ে চলে যায়। সম্পর্কও কেমন বদলে যায়। শুধু বদলে যায়নি তোমার এই বিশেষ দিনে আয়োজন করে ঘর সাজানো, কেক কাটা। এই যে তোমার মা আছে তো। আনন্দের কমতি কী করে হয় বল।’
‘শোনো পদ্মফুল! এই দিনে তুমি কখনও মন খারাপ করবে না। এই দিন তোমার জন্য অনেক আনন্দের দিন, খুশির দিন। ঠিক আজকের মতোই তোমার ভালোবাসার সবাইকে নিয়ে হইহুল্লরে ভরিয়ে রেখ, কেমন! আমার পুণ্য, তুমি আমার পুণ্য। তুমি এই পৃথিবীর জন্য আলোর বাহক হও। মা তোমাকে অনেক ভালোবাসে, হ্যাপি বার্থডে বাবা।’