রাজনীতি ডেস্ক:
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতা মো.সোহেলের বিরুদ্ধে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মো.মোবারক মন্ডল রিংকুর বসতবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চরভবসুর ঠোঁটাপাড়া এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে ভুক্তভোগী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা মো. সোহেল ও সহযোগীরা এলাকায় বেপরোয়া চলাফেরা করে এবং সামাজিক বিভেদ সৃষ্টি করেন। এলাকার নিরীহ লোকজনকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখান। ওই ছাত্রলীগ নেতার নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে চলাফেরা করার কারণে থানায় অভিযোগকারী মোবারক মণ্ডলের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বসতবাড়িতে হামলা করে। এ সময় একটি মোটরসাইকেল ঘরের তৈজসপত্র ভাঙচুর করে ওই ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগীরা।
অভিযুক্ত মো.সোহেল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চরভবসুর সরকারপাড়া এলাকার মো.মজিবরের ছেলে।
এ ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার সাথে তার কোনো সমস্যা নেই। আমি বকশিগঞ্জে গণপূর্তের একটি প্রজেক্টে কাজ করতাম। প্রজেক্ট শেষ হওয়ায় বাড়িতে চলে আসি। এখন আমি বেকার। সময় কাটানোর জন্য এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় এলাকার একজনের সঙ্গে সোহেলের লোকজনের ঝগড়া হয়। ওই সময় আমি সেখানে ছিলাম। এ অপরাধে আমার বাড়ি ঘরে হামলা করেছে সোহেল ও তার সহযোগীরা। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ি-ঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। এ সময় একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেছেন তারা।’
আরেক ভুক্তভোগী কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা সোহেল দুইটা বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। আরেকটি বাড়িতে হামলা করেছিল। তারা আমার ওপরেও আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেলের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এলাকার মিহাদ মণ্ডল, জাহিদুল, রিংকু মণ্ডল, রিফাত মণ্ডল, শফিকুল ইসলাম ও রাশেদ, আল আমিন দা নিয়ে মারধর করে ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘এ ঘটনায় দুইপক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।