জাতীয় ডেস্ক:
চুক্তিপত্র ছাড়াই দেশের বাইরে চাকরি নিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশে অভিবাসী নারী শ্রমিকরা। সেখানে গিয়ে তারা বিপদে পড়ছেন। ফেরত আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকদের কার্যকর এবং টেকসই পুনঃএকত্রীকরণের জন্য স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণকে শক্তিশালী করা। সেইসঙ্গে টেকসই পুনঃসংযোগের জন্য একটি নীতি কাঠামো প্রণয়ন করা।
এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহযোগিতায় সিডব্লিউসিএসের আয়োজনে আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) ফেরত আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকদের পুনঃএকত্রীকরণসংক্রান্ত নীতি কাঠামোসংক্রান্ত জাতীয় পর্যায়ের পরামর্শবিষয়ক এক অলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টের ককাস অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সভাপতি এবং জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। স্বাগত বক্তব্য দেন সিডব্লিউসিএসের সভাপতি অধ্যাপক ইশরাত শামীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রাগসরের নিবাহী পরিচালক (অনারারি) ফওজিয়া খোন্দকার, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আয়েশা নাগিস, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগাম কোডিনেটর রাফেজা শাহীন প্রমুখ।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহযোগী পরিচালক জান্নাতুল ফিরদাউস রূপা, ওয়েজ আনাস ওয়েলফেয়ার বোর্ডের উপপরিচালক (ওয়েলফেয়ার) শরিফুল ইসলাম, কেরানিগঞ্জ সমাজসেবা কমকতা মো. ফখরুল আশরাফ, নবাবগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা মান্না প্রমুখ।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটের আইনজীবী ও সি ডব্লিউসিএসের ইসি কমিটির মেম্বার অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন তার প্রবন্ধে বলেন, চুক্তিপত্র ছাড়াই দেশের বাইরে চাকরি নিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকরা। এর ফলে তারা বিদেশে গিয়েও সমস্যায় পড়েন। আমাদের যে নীতিমালা রয়েছে তা দিয়েও সমস্যা এড়ানো যায় না, আইনেও কিছু বলা নেই। শুধু বলা হয়েছে, তাদের বিষয়গুলো দেখা হবে। যে সংশোধনীগুলো এবার এসেছে, সেখানে কিছুই পাওয়া যায়নি। শুধু বলা হয়েছে, তাদের মূল্যায়নগুলো দেখা হবে।
সুরক্ষাগুলোকে অন্তর্ভুক্তি করে দেওয়া হয়েছে। সংশোধনীগুলো না হওয়ায় জেন্ডার অসমতার কারণে নারীরা এখানেও পিছিয়ে রয়েছে। যেভাবে তাদের থাকার কথা সামাজিকতায় সেভাবে থাকতে পারছে না।