রাজনীতি ডেস্ক:
ভারত ও চীনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের সম্পর্ক নিয়ে কটূক্তি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে যদি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হয় তাহলে চীনের সঙ্গে কি পরকীয়া?’
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জিয়া মঞ্চের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
জিয়াউর রহমানের প্রশংসা করে গয়েশ্বর বলেন, ‘এমন কোনো দলের লোক নাই যাকে তিনি বঙ্গভবনে ডাকতেন না। তবে তিনি ডিবির হারুনের মতো খাইয়ৈ-দাইয়ে ছবি তুলতেন না।’
আওয়ামী লীগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘নিম্নবিত্তের লোকেরা আওয়ামী লীগ করে। এজন্য তারা ভাবে, যত পারি খাই।’
পশ্চিমা বিশ্ব বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য পাগল হয়নি। তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক ধস দেখে নির্বাচন নিয়ে কথা বলে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘বিদেশিরা আমাদের ক্ষমতায় আনতে পারবে না। আমাদের নিজেদেরকেই আন্দোলন করতে হবে। বিদেশিদের পদক্ষেপগুলো আমাদের আন্দোলনকে কেবল উৎসাহিত করে।’
এ সময় ভারত ও চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভাবে ভারত আমাদের দেশটা স্বাধীন করেছে। শেখ হাসিনার চেয়েও বড় বিপদে পড়েছেন মোদি। তিনি ভেবেছিলেন গার্লফ্রেন্ড। কারণ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। তাই যদি হয়, তাইলে চীনের সাথে কি পরকীয়া? পরকীয়া তো আরও খারাপ।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের জন্য বারবার জিয়াউর রহমান আর বিএনপিকে টেনে আনা হয়। বিএনপির তো জন্মই হয়নি তখন। এই ঘটনা ঘটিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর চাচা মোশতাক।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটা জালেম সরকার জাতিসংঘে গিয়ে বলে, তারা মানবাধিকারের পক্ষে। অথচ বেগম খালেদা জিয়া এত অসুস্থ তাকে বিদেশে যেতে দেয় না।