আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পশ্চিমা আধিপত্য রুখতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাকে আরও সুসংহত করতে নতুন একটি আইন পাশ করল শি জিনপিং প্রশাসন। এতে বেইজিংয়ের স্বার্থবিরোধী যে কোনো উদ্যোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন চীনা প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।
সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে চীনের সক্রিয় অবস্থান, বিশ্বে ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা। অন্যতম পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয়কে পাশ কাটিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিচ্ছে চীন।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, গোটা পশ্চিমাদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই আগ্রাসী কূটনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে চীন। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ কূটনৈতিক চাল হিসেবে পশ্চিমাবিরোধী নতুন আইন পাশের ঘটনা।
বিদেশিদের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি আইনটি পাস করে।
এতে বলা হয়, চীনা স্বার্থবিরোধী যেকোনো কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও হংকং ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেয়া চীন বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে আইনটি। চীনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ নিলে তাদের ‘স্যাংশন লিস্টে’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা প্রবেশ করতে পারবেন না চীনে। দেশটিতে থাকা তাদের সম্পদও জব্দ করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষমতাকে আরও সুসংহত করলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধাক্কার পাশাপাশি পশ্চিমা আধিপত্য বিরোধী গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে দেখা হচ্ছে এই আইনটিকে।
মূলত ওয়াশিংটন-বেইজিং উভয়পক্ষই একটি স্থিতিশীল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের কথা বললেও আদতে একে ফাঁকাবুলি বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। উল্টো এতে দু’দেশের শীতল সম্পর্ক আরও ঘনীভূত হবে বলে ধারণা তাদের।