হোম আন্তর্জাতিক চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের স্থায়ী সমাধান চায় ভারত

চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের স্থায়ী সমাধান চায় ভারত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 6 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন, দুই দেশের উচিত সীমান্ত নিয়ে পুরোনো বিরোধের ‘স্থায়ী সমাধান’ খোঁজা। শুক্রবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কিংডাওতে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে রাজনাথ চীনের ডং জুনের সঙ্গে দেখা করেন এবং একটি কাঠামোগত রোডম্যাপের মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দেন।

নয়াদিল্লির বিবৃতিতে সীমান্ত আলোচনা প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, রাজনাথ সিং ‘সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ওপরেও জোর দিয়েছেন এবং এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করে সীমানা নির্ধারণের স্থায়ী সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন।’

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘স্থায়ী সমাধানের’ ওপর নয়াদিল্লির এই প্রচেষ্টা তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ ভারত অতীতে সাধারণত ‘বিরোধের দ্রুত সমাধান’ চাওয়ার মতো কথা বলে এসেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, এই বৈঠকের বিষয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বিবৃতি আসেনি এবং ভারতের বিবৃতির বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধের সঙ্গে সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কোনো সাড়া দেয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের দুটি সর্বাধিক জনবহুল দেশ – উভয়ই পারমাণবিক শক্তিধর। হিমালয় পর্বতমালায় ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ, মূলত অনির্ধারিত এবং বিতর্কিত সীমানা ভাগ করে নিয়েছে এবং এটি নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।

যদিও সাম্প্রতিক দশকগুলোতে সীমান্তটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে ২০২০ সালে দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে এক মারাত্মক সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় এবং চারজন চীনা সৈন্য নিহত হয়।

এই সংঘর্ষের ফলে চার বছর ধরে সামরিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় এবং উভয় সেনাবাহিনী পাহাড়ে কয়েক হাজার সৈন্য মোতায়েন করে। পরবর্তীতে তারা গত অক্টোবরে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়।

নয়াদিল্লি জানিয়েছে, ডং-এর সঙ্গে বৈঠকের সময় ২০২০ সালের অচলাবস্থার পর তৈরি আস্থার ‘ঘাটতি বা দূরত্ব’ কমানোর আহ্বানও জানিয়েছেন রাজনাথ।

রয়টার্স জানিয়েছে, বেইজিং ও নয়াদিল্লি সম্পর্ক পুনরুদ্ধার অব্যাহত রেখেছে এবং এই মাসে তারা ২০২০ সালের সংঘর্ষের পরে স্থগিত করা সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু করতে এবং যোগাযোগ বাড়াতে সম্মত হয়েছে।

সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) হলো ১০টি দেশের একটি ইউরেশিয়ান নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক গোষ্ঠী, যার সদস্যদের মধ্যে রয়েছে চীন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান এবং ইরান। তাদের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন