আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনে যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। ট্রাম্পের শুল্কের প্রতিক্রিয়ার বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে হুমকিমূলক বার্তার কয়েকঘণ্টা পর বুধবার (৫ মার্চ) এ কথা বলেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।
ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হেগসেথ বলেছেন, আমরা প্রস্তুত আছি। যারা শান্তি কামনা করে তাদের যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হয়। এজন্যই আমরা সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করছি। আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করি, যেখানে বিরোধী মতাদর্শে বিশ্বাসী শক্তিশালী দেশ রয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, আমাদের প্রতিপক্ষরা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করেছে। তারা আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ধাবনে মনোনিবেশ করছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে চায়। যদি আমরা চীন বা অন্য কাউকে যুদ্ধে নিবৃত্ত করতে চাই, তবে আমাদের অবশ্যই আরও শক্তিশালী হতে হবে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে চীন ঘোষণা দেয় যে তারা যেকোনও বাণিজ্য বা শুল্ক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ চায়, তা শুল্ক যুদ্ধ হোক, বাণিজ্য যুদ্ধ হোক, কিংবা অন্য কোনো যুদ্ধ— আমরা শেষ পর্যন্ত লড়তে প্রস্তুত।
ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক দ্বিগুণ করে ২০ শতাংশ করায় চীন পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা মার্কিন কৃষি ও খাদ্যপণ্যের ওপর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধি করে এবং ২৫টি মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় নিরাপত্তার কারণে রফতানি ও বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনে।
পরে অবশ্য হেগসেথ বলেছেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে ট্রাম্পের। তিনি বলেছেন, ঐতিহাসিক শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রায় দুই দেশ একসঙ্গে চলবে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব হচ্ছে দেশের প্রস্তুতি নিশ্চিত করা। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করে সক্ষমতা সংহত করার দিকে আমাদের মনোযোগী হওয়া উচিত।